অর্থের অভাবে অনেক সময় দেশে-বিদেশে অনেক নারী দেহ বিক্রি করেন। তাদেরকে মার্জিত ভাষায় দেহপসারিণী বলা হয়। আবার অনেক নারী আছেন যারা রক্ষিতা হিসেবে ব্যবহৃত হন। কিন্তু পশ্চিমা দুনিয়ায় শুধু নারী নন, অনেক পুরুষও একই রকম পথ অনুসরণ করছেন। তারা অর্থের জন্য ধনবতী নারীদের শারীরিক চাহিদা পূরণ করেন। এদেরকে মার্জিতভাবে পুরুষ এসকর্ট হিসেবেই বর্ণনা করা যেতে পারে। এমনই একজন পুরুষের সন্ধান মিলেছে বৃটেনে। তাকে নিয়ে বৃটিশ মিডিয়ায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। বলা হয়েছে এই পুরুষ এসকর্টের বয়স ৪১ বছর। বাড়ি ইংল্যান্ডের উত্তরে।
তার অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক লম্বা। প্রায় ২০ বছর ধরে সম্পদশালী নারীদের কাছে তিনি দেহ বিক্রি করছেন। এখন এই পেশাকে তিনি ভালোবাসেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি একে মজাদার বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই পুরুষ এসকর্টের নাম অ্যালেক্স (ছন্দনাম)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন সুন্দরীর সঙ্গে ১২ বছর ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ। তার সঙ্গে ঘর সংসার করছেন। ইউনিভার্সিটিতে পড়া অবস্থায়ই একসর্টিং বা সম্পদশালী নারীদের সঙ্গ দেয়া শুরু করেন অ্যালেক্স। তখন তার বয়স ২৫ বছর। এতে তিনি অতিরিক্ত কিছু অর্থ উপার্জন করতে থাকেন। নিজেই স্বীকার করেছেন, এ পর্যন্ত কয়েকশ’ নারীর শয্যাসঙ্গী হয়েছেন। আর তা থেকে উপার্জন করেছেন কয়েক লাখ পাউন্ড।
অ্যালেক্স বলেছেন, যেসব নারীকে তিনি সঙ্গ দিয়েছেন তাদের বয়স সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তবে কখনো কখনো ২০ বছর বয়সী যুবতীর সঙ্গেই তিনি শয্যাসঙ্গী হয়েছেন। এ বছর ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে তিনি সাত জন নারীর কাছ থেকে অনুরোধ পেয়েছিলেন। কিন্তু এই দিনটিতে তিনি ২৫ বছর বয়সী একজন যুবতীকে সময় দেন। স্বামী বা জীবনসঙ্গী যেভাবেই বলুন, একজন পুরুষের নারীসঙ্গী এই আচরণ মেনে নিতে পারেন! এর জবাব দিয়েছেন অ্যালেক্স নিজেই। তিনি বলেছেন, তার স্ত্রীর বয়স এখন ৪০ বছর। তিনি সিনেমা ভালোবাসেন। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়ই অ্যালেক্স যখন এসকর্টিং শুরু করেন, তখন থেকেই তিনি এ সম্পর্কে জানতেন। বলেছেন, তিনি এটাকে জীবনের আরেকটি অধ্যায় হিসেবে দেখেন। ইউনিভার্সিটিতে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর এই যুগলের জানাশোনা হয়। এর চার বছর পরে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অ্যালেক্স বলেন, তার এই সম্পর্ক নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই তার স্ত্রীর।
আমরা অনেক বছর ধরে একে অন্যকে জানি, চিনি। স্ত্রী আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। অন্য বৈবাহিক সম্পর্কে সহায়তা করা নিয়ে সে আমাকে নিয়ে মজা করে। অন্য নারীকে আনন্দ দেয়া নিয়ে মজা করে। সারা বছরই আমাদের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্ক। তাই ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে আমরা বস্তুত ভালোবাসার দিন বলি না। অ্যালেক্স একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। দুই দশক ধরে তিনি এসকর্টিং করে যাচ্ছেন। প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এ পথ থেকে সরে যাবেন না। তাদের কোনো সন্তান নেই। অ্যালেক্স বলেছেন, সন্তান হলে তাকে এই দেহ বিক্রির কাজটা হয়তো বন্ধ করতে হবে।
প্রতি ঘণ্টার জন্য অ্যালেক্স চার্জ নিয়ে থাকেন ২০০ পাউন্ড। পুরো রাতের জন্য ১৫০০ পাউন্ড। এ থেকে মাসে তিনি হাজার হাজার পাউন্ড উপার্জন করেন। অ্যালেক্স বলেন, জানুয়ারিটা ভালো যায়নি। এ সময় তিনি উপার্জন করেছেন ১২০০ পাউন্ড। তারচেয়ে বড়দিনের সময়টা ভালো ছিল। সে সময়ে তিনি উপার্জন করেছেন ৩০০০ পাউন্ড। আর ২০০৯ সালে সব মিলে তার উপার্জন ছিল ৫৫,০০০ পাউন্ড।