দেশে বেড়েই চলেছে বিবাহবিচ্ছেদ। ১ বছরের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার শেরে বাংলা নগরের পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। প্রতিবেদনটিতে এ তথ্য উঠে আসে।
বিবিএসের ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড হেলথ উইংয়ের উপপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
আলমগীর হোসেন বলেন, গতবছর সারা দেশে দুই হাজার ১২টি ইউনিট, ৩ লাখ ৬ হাজার ৯৫৪টি খানা এবং ১৩ লাখ ২ হাজার ৭৮৮ জনের ওপর জরিপ চালিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে দেশে বিবাহবিচ্ছেদের স্থুল হার বেড়ে প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৪টি হয়েছে। ২০২১ সালে এই হার ছিল প্রতি হাজারে ০ দশমিক ৭টি।
এতে বলা হয়, বিবাহবিচ্ছেদের হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। গত বছর গ্রামাঞ্চলে প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৫টি আর শহরে হাজারে একটি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর দেশে গড়ে প্রতি হাজারে বিয়ে করেছেন ১৮ দশমিক ১ জন। বয়স অনুযায়ী ১০ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ অবিবাহিত, ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ বিবাহিত এবং ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বিধবা/বিপত্নীক, তালাকপ্রাপ্ত বা দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন।
এতে বলা হয়, পুরুষের বিবাহের গড় বয়স এখন ২৫ দশমিক ৩ বছর। আর নারীর বেলায় তা ১৮ দশমিক ৮ বছর। গত বছর যাদের বিয়ে হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের বয়স ছিল ১৫ বছরের নিচে। আর ১৮ বছরের কম বয়স ছিল ৪০ দশমিক ৯ শতাংশের।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে মেয়েরা বিয়ের যোগ্য হয় ১৮ বছর বয়সে, আর ছেলেদের ক্ষেত্রে এই বয়স ২১ বছর।
সূত্র : আমদের সময়