‘দেশটা তোমার বাপের নাকি, করছো ছলাকলা, সুযোগ পেলেই ধরছো চেপে জনগণের গলা…..মনে রেখো যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে দেশ পেয়েছি, দেশ বাঁচাতে রক্ত দিতেও রাজি আছি… ভয় দেখিয়ে হবে না কাম…’। এই লাইনগুলোর সঙ্গে সুপরিচিত এই বাংলার মানুষ। হাসিনাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশে প্রবলভাবে জনপ্রিয়তা পায় এই গান, এক কথায় বলায় যায় কোটা-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘অ্যান্থম’ হয়ে উঠেছিল এই গান।
‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, ঠিক যেমনভাবে বাংলাদেশের ছাত্রনেত্রী ইলার ‘Wherever I Go, However I Dress…’ স্লোগান এখন ফিরছে এপার বাংলার আন্দোলনকারীদের মুখে মুখে। ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ আন্দোলনে পথে নামা জনতার মুখে মুখে এই গান। আন্দোলনরত জনতার সঙ্গে এই গানে গলা মিলিয়েছেন উষসী চক্রবর্তীও। সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিয়ো।
কিন্তু জানেন কী বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে জনপ্রিয় হওয়া ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি?’ গানটির ইতিহাস। এই গানের লেখক বাংলাদেশের মগবাজারের বাসিন্দা ইথুন বাবু। মগবাজার বাউল গায়কদের জন্য প্রসিদ্ধ।
হাসিনা জমানায় তৈরি এই গান শোনা গিয়েছে বিএনপি-র মঞ্চে। শিল্পী নাজনীন আখতার মৌসুমী চৌধুরীর কন্ঠে তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে। তবে যশোরের এক গায়িকা দাবি করেছেন, এই গান মঞ্চে তিনিই প্রথম গেয়েছেন। নাজনীন প্রথম রেকর্ড করেন গানটি।
নাজনীন মৌসুমীর নওগাঁ-র মেয়ে। হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে নাজনীনের এই গান কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ দিয়েছে, এই গান গেয়ে ঘরছাড়াও হন নাজনীন। তবে আপোস করেননি।
এই গানের অহমিয়া ভার্সন গেয়ে প্রতিবেশী রাজ্য অসমে দু-দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী আলতাপ হুসেন। তাঁর গানে সাম্প্রতিক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে এমন অভিযোগ এনেছে প্রশাসন। তবে পশ্চিমবঙ্গে এই গান উত্তাপ ছড়ালেও এই গানের জন্য আইনি ঝামেলায় জড়াননি কেউ।