শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

দেখে আসুন হাম হাম ঝর্ণা

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

চিতা ঝর্ণা বা হাম হাম ঝর্ণা মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবস্থিত।স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকে একে হাম্মাম ঝর্না বলে ডাকে। লোকচক্ষুর অন্তরালে দীর্ঘদিন নিজের মহিমা লুকিয়ে রেখেছিল এই জলপ্রপাত। দূর্গম পথ আর লোকালয়ের বেশ বাইরে থাকার কারনে এতদিন এই জলপ্রপাতটি কারও চোখে পড়েনি।

টলমলে স্বচ্ছ পানির ধারা গড়িয়ে পড়ছে শক্ত পাথরের মতো পাহাড়ের শরীর লেপটে।নির্জন, শান্ত পাহাড়ের প্রায় দেড় শ’ ফুট উঁচু থেকে আছড়ে পড়া স্রোতধারার কলকল শব্দ বয়ে যাচ্ছে সমতলে। নাম না জানা লতাপাতা, গুল্ম, বাঁশবন, বুনোফুল ও ফলের গাছ আগলে রেখেছে পরম মমতায় সৃষ্টির বিস্ময় এই ঝর্ণাটিকে।

কখন যাবেন

ঝর্ণার যৌবন হলো বর্ষাকাল। বর্ষাকালে প্রচন্ড ব্যাপ্তিতে জলধারা গড়িয়ে পড়ে। শীতে তা কমে যেয়ে মাত্র একটি ঝর্ণাধারায় এসে ঠেকে।

হাম হাম ঝর্ণা কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে হবে। ঢাকা থেকে রেল ও সড়ক পথে শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়।ঢাকার কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস। দুপুর ২টায় প্রতিদিন ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস। বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ১০টায় ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস।

এছাড়া ঢাকার সায়েদাবাদ, কমলাপুর, আরামবাগ থেকে আগে শ্রীমঙ্গল যেতে হবে।যদি রাতের গাড়ীতে আসেন তবে শ্রীমঙ্গল থেকে নাস্তা করে রওনা দিবেন। আর যদি দিনের গাড়ীতে রওনা হন তবে রাতে হোটেলে থেকে ভোরে হামহাম চলে যাবেন।  পরে পথে কুড়মা বাজারে নাস্তা সেরে নিবেন। শ্রীমঙ্গল হোটেলের আশেপাশে অনেক সিন.এন.জি পাবেন, আপনাকে শ্রীমঙ্গল থেকে যেতে হবে কলাবন পাড়া। কলাবন পাড়া পৌছে ওখানে চা শ্রমিক রাই গাইড হিসেবে যায়। গহীন এবং পাহাড়ি বনের ভেতরে প্রায় আড়াই ঘন্টা হাটতে হবে, বনের প্রায় সাড়ে ৭ কিলো ভেতরে হাম হাম। উঁচু পাহাড়ে উঠতে হবে, তাই সাবধান থাকতে হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com