সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন

দুনিয়ার সপ্তাশ্চর্যের যত রূপ ‍ও রহস্য

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩

প্রাচীন হেলেনীয় সভ্যতার পর্যটকদের কাছ থেকে সপ্তাশ্চর্যের ধারণা চলে আসে। নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন ২০০৭ সালে ১০০ মিলিয়ন ভোটের মাধ্যমে পৃথিবীর সাত বিস্ময় নির্ধারণ করেছিল। পর্তুগালের রিসবনে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৭ বিস্ময়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকায় রয়েছে মেক্সিকোর চিচেন ইংজা, রুমের কলোসিয়াম, আমেরিকার মাচু পিচু, চীনের গ্রেট ওয়াল, ব্রাজিলের ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার, জর্ডানের পেত্রা ও ভারতের তাজমহল।

পৃথিবীর সাত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম হলো মেক্সিকোর চিচেন ইংজা। পিরামিডের শীর্ষে আরোহন করার জন্য ৩৬৫ টি সিঁড়ি রয়েছে। মায়া সভ্যতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ পিরামিডটি। মায়া সভ্যতাই প্রথম ৩৬৫ দিনের বর্ষপঞ্জির প্রচলন করেছিল। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী তালিকার মধ্যেও এটি রয়েছে।

ইতালির কলোসিয়াম হচ্ছে চারতলা বিশিষ্ট এবং এটি বৃত্তাকার। এটি একটি ছাদবিহীন মঞ্চ এবং ১৮৯ মিটার দীর্ঘ। এটার ডিজাইন এখনো মানুষকে বিস্মিত করে তোলে। নাট্যমঞ্চ সহ অন্যান্য কারণে এটি তৎকালীন সম্রাট নির্মাণ করেছিল। রোম সম্রাটদের আনন্দের খোরাক যোগাতে এখানে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এই স্থানে দুই ব্যক্তির লড়াই চলতো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এবং সম্রাট এটি বিনোদন হিসেবে দেখতেন।

মাচু পিচু হচ্ছে পেরুল প্রাচীন নগরী। মাচু পিচু শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রাচীন পর্বত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এটি ২৪০০ মিটার উপরে অবস্থিত। অধিকাংশ সময় এটি মেঘের আড়ালে ঢাকা থাকে। এখানের সব বাড়ি পাহাড়ের গা ঘেঁষে ধাপে ধাপে তৈরি করা হয়েছিল। এখানে মোট 140 টি পাথরের স্থাপনা রয়েছে।

চীনের গ্রেট ওয়াল এর কথা শুনেননি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটি মাটি এবং পাথর দিয়ে নির্মিত। সামরিক অনুপ্রবেশ ঠেকানো এবং আক্রমণকারীকে দূরে রাখার জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই সময় এটি ছিল অন্যতম ব্যয়বহুল প্রকল্পের একটি। ওই সময় পৃথিবীর সব থেকে বড় সামরিক স্থাপনা হিসেবে এটিকেই ধরা হতো।

ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরের সবথেকে বড় আকর্ষণ হচ্ছে যীশুর ভাস্কর্য। এই স্থানটিকে বলা হয় ক্রাইস্ট দা রিডিমার। পর্বতের উপরে এ মূর্তি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এটি নির্মাণে এক ফরাসি ভাস্করের দক্ষতা কাজে লাগানো হয়।

পেত্রা নগরটি জর্ডানের মধ্যে অবস্থিত। নগরটির গোড়াপত্তন হয়েছিল ৩০০০ বছর আগে। পাথরের স্থাপত্য এবং জলের নালীর জন্য এটি বিখ্যাত। এখানে ফারাওদের বিখ্যাত মন্দির রয়েছে। পাহাড় কেটে এই স্থাপনা তৈরি করা হয়।

মুঘল শাসনামলে ভারতের তাজমহল নির্মাণ করা হয়। ২০ হাজার শ্রমিকের পরিশ্রমের ফলে এটি নির্মিত হয়। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছিল ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এখানে আপনি ক্যালিওগ্রাফির শিলালিপির নিদর্শন দেখতে পারবেন। ২০০৭ সালে এটি সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com