1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির দেশে চলুন
শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
Uncategorized

দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির দেশে চলুন

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১

চার্মিং চামং

এনজেপি থেকে আকাশ মেঘলা। মাঝে মাঝে রোদের ঝলক চলকে পড়ছে। হিমেল হাওয়াকে সঙ্গী করে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মিরিক ঢুকে পড়লাম। নামজাদা সব চা-বাগানের ঢেউ। দেশ-বিদেশের বাজারে এই সব বাগানের চা যাকে বলে, তুফান তোলে। মেঘ-কুয়াশা-রোদ্দুরের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে খেলতে পৌঁছে গেলাম। লেপচাজগৎ-পোখরিয়াবং-এর রাস্তায় প্রায় ৮ কিমি গিয়ে চামং মোড় চলে এল। এখান থেকে ৩ কিমি আসতেই ধরা দিল পাহাড়ের কোলে বসানো মস্ত এক হেরিটেজ বাংলো। মোড়। প্রিয় শৈলশহর দার্জিলিং থেকে মেরেকেটে ২৩ কিমি। পোখরিয়াবং থেকে বাঁয়ে মোড়। আঁকাবাঁকা আসবুজ পথ। মাঝে মাঝে বাক্সবাড়ি সেঁটে আছে পাহাড়ের গায়ে। উঁচু পাহাড়ের ঢালে চা-বাগানেই ঢেউ। মাত্র ৩ কিমি যেতেই ধেয়ে আসা সবুজের মাঝে চামং টি এস্টেট। আর তার আশেপাশে আরও বেশ কিছু কটেজ। চামং চিয়া বাড়ি।

সামনের উন্মুক্ত আকাশ জুড়ে শুধুই সবুজের ঢেউ খেলানো চা-বাগান। সাজানো গোছানো ১১০ বছরের হেরিটেজ বাংলো। ম্যানেজার সাদর আমন্ত্রণ জানালেন। বাংলোর কোল ঘেঁষা সুন্দর নবনির্মিত রেস্তরাঁ। নীচের চা-বাগানের ঢাল বরারর সুন্দর কটেজে গিয়ে উঠলাম। খাদের ধারে ধুপি গাছের সারি। সামনে সবুজমেশা লন। লনের শেষে নেমে গিয়েছে খাদ। খাদের গায়ে হেলান দেওয়া সুন্দর নজরমিনার। মাথার উপর ছাউনি দিয়ে সুন্দর বসার জায়গা করা। পাঁচটি নজরমিনার। সামনে অতলান্ত পাহাড়ের ঢাল। ধাপে ধাপে নেমে গিয়েছে চামং চা-বাগান। দূরে দার্জিলিং পাহাড়ের হাতছানি। মেঘ, কুয়াশারোদ্দুরের উচ্ছ্বাস চলকে পড়ছে।

প্রায় ৫০০ একর এলাকা জুড়ে এই চামং চা-বাগানের ব্যাপ্তি। মেঘের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো মখমলি চা-বাগানের কোলে যেন খেলে বেড়াচ্ছে। আবার মাঝে মাঝে মেঘ পাহাড়ের কোলে ঢলে পড়ছে। আবার মেঘ ছুঁয়ে যাচ্ছে শরীর। গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে আপনমনে টিপাই সারছেন একদল মহিলা। এই চা-বাগান তাঁদের প্রাণ। এমন প্রাকৃতিক রূপশোভার কোলাজে শুধুই বুঁদ হয়ে থাকলাম।

এখান থেকে চোখে বাইনোকুলার লাগালেই গাছে গাছে পাখিদের দেখা মেলে। প্রায় ১৫০ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে সারা বছর। বার্ডওয়াচারদের স্বর্গরাজ্য। দূরে এক বিদেশি চিত্রগ্রাহককে দেখলাম, লেন্স তাক করে বসে আছেন।

লাঞ্চ সেরে নিলাম। দূরে পাহাড়ের মাথায় এক শিবের মন্দির রয়েছে। হাল্কা ট্রেকে এক লহমায় মন্দিরে। এখান থেকে চামংকে অসাধারণ লাগে। আশপাশের গ্রাম ঘুরে নিলাম। সহজ, সরল এক সুন্দর গ্রামজীবন মন ছুঁয়ে গেল। ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্য। হাল্কা কুয়াশার কালচে–নীলে মিশেছে হলদেটে মায়াবি আলোয় মাখামাখি রোম্যান্টিক, চামং চিয়া বাড়ি। চা সংক্রান্ত অনেক তথ্য দিলেন এখানকার ম্যানেজার সাহেব।

পর দিন চা-বাগান ও ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে নিয়ে গেলেন ম্যানেজার সাহেব। ৩-৪ রকমের চা-ও টেস্ট করালেন। ব্রেকফাস্ট সেরে বিদায় জানালাম চামং-কে। চামং হেরিটেজ চা বাগান এক কথায় অপূর্ব।

কোথায় থাকবেন

চামং মাউন্টেন রিট্রিট অ্যান্ড স্পা। ৯টি থাকার জায়গা। দু’জনের ভাড়া ১০ হাজার টাকা। লাঞ্চব্রেকফাস্টডিনার-সহ। ট্যাক্স আলাদা। যোগাযোগ: 09674488751


শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com