শেষ পর্যন্ত আম্লিকের সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি আপিকে হ*ত্যা মামলার আসা*মী করে আদালতে নেওয়া হয়েছে। দশ দিনের রি*মান্ড চাওয়া হলে চার দিনের রি*মান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরা দীপু মনি আপিকে উদ্দেশ্য করে “চোর, ফাঁ**সি চাই ” বলে চিৎকার করছিলেন। এমনকি তাকে কিল-ঘুষি মারা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। তাছাড়া ছবিটা দেখেন কিএ্যাক্টাবস্থা আল্লাহ ! একজন মেয়ে মানুষ তো এত চাপে পিষে যাবে গো।
পরে আদালতের ভিতরে দীপু আপি ডকের একক্ষণে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিছু মহিলা পুলিশ তাকে ঘিরে রেখেছিলেন। পরে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। কথা বলতে চাইলেও বলতে পারেন নি ফুপিয়ে ফুপিয় কান্নার জন্য।
এদিকে দীপু আপির পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়ান নি। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো একজন বিন্পি দলীয় আইনজীবী আতাউর রহমান দীপু আপির পক্ষে কথা বলেন ও জামিন চান। কিন্তু আদালত সেই জানিন না মঞ্জুর করেন।
এখন আসেন বিশ্লেষণ করি। দেখেন এটা কিন্তু ধ্রবতারার মতো সত্য কথা পাপ কখনো বাপকেও ক্ষমা করে না।
এই যে দীপু মনি আপি বা ধরেন যে কোনো আপি বা ভাইয়াগণকে এখন ধরে ধরে আদালতে নিয়ে সমানে আদা ছেঁচা করা হচ্ছে এটা তাদের অতীত জীবনের কর্মফল।
ওনারা এমন একটা দৃঢ় বিশ্বাসের জালে বাঁধা ছিলেন যে, পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও তারা তাদের বানানো রাজ্য অবলীলায় ভোগ করবেন।
তারা মানুষকে কাঁদিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তারা এভাবে কাঁদবেন এটা কখনোই দুঃস্বপ্নও ভাবেন নি। দীপু আপি কেঁদেছেন, পলক ভাই কেঁদেছেন। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বহু বাঘের পাওয়ারে থাকা মন্ত্রী-ব্যক্তি বর্গ। ওনাদের নেত্রী পেয়েছেন আপোষহীন নেত্রী থেকে দেশহীন নেত্রীর তকমা। এই যে একটা ঝড় আম্লিকে একেবারে কলিজার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তার গতি ঘুর্ণিঝড়ের দিকেও যেতে পারে।
ছোট্ট একটা জীবন চালাতে খুব বেশি কিছু লাগে না। যখনই মানুষ হিংস্র-লোভী হয়ে ওঠে তখন অন্যায়-অনিয়ম, দুর্নীতি করে টাকার পাহাড়ের নিচে জীবনকে চাপা দেয়। তবে জীবনে দুর্দিনে কেউ কারোর পাশে থাকে না।
আজ দীপু আপির পাশে কেউ নেই। নেই কোনো আইনজীবী। এমনকি তার নিজের দলের আইনজীবী ব্যালেস্টার চুমনও তো থাকলেন না। নেত্রী নিজের জীবন নিয়ে পালালেন। একবারও তাকে ঘিরে থাকা চামচাদের কথা তো ভাবেন নি। হাসিনা আপি হয়তো মনে করেছেন নিজে বাঁচি আগে, পরে চামচা। আর চামচারা বলেছিলেন, নিজের জীবন দিয়ে দেব নেত্রীর জন্য। অথচ তারাও পলাতক। আসলে সবাই চামচা।