দাম্পত্য জীবন সুখী ও দীর্ঘ করতে জাপানিরা যে ৫ কৌশল মেনে চলেন
আপডেট সময়
সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
বিয়ের পরেও নিজেদের বোঝাপড়ার অভাবে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। তবে জাপানিরা দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে নিচের এই পরামর্শগুলো মেনে চলেন।
‘আইমাই’ চর্চা বা ছোট কলহ এড়িয়ে চলা
বলা হয় যোগাযোগ হচ্ছে সুখী সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি। তবে জাপানের সংস্কৃতিতে নেতিবাচক ফলাফল আসতে পারে, এমন যোগাযোগের ক্ষেত্রে অস্পষ্ট থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সব ক্ষেত্রে তর্ক না করাকেই বলা হয় ‘আইমাই’। পরিষ্কার ও স্পষ্ট যোগাযোগ সঙ্গীদের একে অপরকে জানার ও বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও। সব সময় এ ধরনের যোগাযোগ কার্যকর নয়। কখনো কখনো তা রূঢ় মনে হতে পারে। পাশাপাশি সরাসরি আক্রমণ না করে সঙ্গীকে তার অবস্থান পরিষ্কার করার জায়গাও দিতে হবে।
‘গামান’ অর্থাৎ ধৈর্য ও সহনশীলতা বজায় রাখা
‘গামান’ অর্থ জটিল যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে সমাধান করা। অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে আবার পুরোপুরি হাল ছেড়ে না দিয়ে ঠান্ডা মাথায় পুরো ব্যাপার সমাধান করাকেই সমর্থন করে জাপানিরা। দাম্পত্য কলহ নিরসনে আবেগের পরিপক্বতা, আত্মসংযম ও সহনশীল মনোভাবকে উৎসাহিত করে এই চর্চা। জাপানি দম্পতিরা তাই ধৈর্যকে দুর্বলতা না ভেবে, সম্পর্ক রক্ষার শক্তি হিসেবে দেখে থাকে।
‘ইতাদাকিমাস’ মানে অল্পতেই তুষ্ট হওয়া ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা
‘ইতাদাকিমাস’ শব্দাংশটি জাপানে খাবারের আগে বলার প্রচলন আছে। শুধু খাবারের সময় নয়, জীবনের সব ক্ষেত্রেই কৃতজ্ঞতাপূর্ণ আচরণ জাপানি সংস্কৃতির একটি গভীরতম অংশ। সঙ্গীর আচরণ ও ভালোবাসায় সন্তুষ্ট হয়ে প্রশংসা করা কিংবা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা একটি ইতিবাচক চর্চা। এতে একে অন্যের প্রতি আবেগ আরও গভীর হয়। ছোটখাটো প্রাপ্তিতেও ‘ধন্যবাদ’ কিংবা আরও কিছু প্রশংসা প্রতিদিনের মুহূর্তগুলোকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।
‘মা’ বা পারসোনাল স্পেস বজায় রাখা
‘মা’, জাপানি ভাষায় যার অর্থ কোনো কিছুর মাঝে বিরতি দেওয়া। সারা দিন একসঙ্গে থাকলেই সম্পর্ক ভালো থাকবে, এমন নয়। বরং সুস্থ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দুজনের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা জরুরি। নিজেদের আগ্রহ ও আলাদা বন্ধু কমিউনিটি দুজনের ব্যক্তিত্ব উন্নয়নে সাহায্য করে।
‘ওয়া’ নিয়ে বসবাস
‘ওয়া’ মানে ঐকতান বজায় রাখা। এই ওয়াতে অন্তর্ভুক্ত আছে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স। সঙ্গীকে সব সময় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে বরং সমঝোতা করে নেওয়ার পরামর্শ দেয় জাপানিরা। অহংকার বাদ দিয়ে অন্যের অবস্থানে নিজেকে রেখে সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটলেও ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়।