ইসরায়েল ধীরে ধীরে নিজের সীমানা বাড়াচ্ছে। বিদেশের মাটি থেকে ইহুদিদের উড়িয়ে এনে সেই অবৈধ জায়গায় গড়ে দিচ্ছে বসতি। তবে এত কিছু করেও ইসরায়েলিদের মন পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন এক পরিসংখ্যান বলছে, দলে দলে ইসরায়েল ছাড়ছে দেশটির নাগরিকরা।
রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকেই একের পর এক সংঘাতে জড়িয়েছে ইসরায়েল। এখন নতুন করে গাজার পাশাপাশি লেবাননেও ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে। এমতাবস্থায় ইসরায়েল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে। বলা হচ্ছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছর ইসরায়েল ছাড়ার প্রবণতা বেড়েছে তিন গুণ।
ইসরায়েলের মারিভ পত্রিকার বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, এ বছরের প্রথম সাত মাসেই দেশ ছেড়েছে ৪০ হাজার ইসরায়েলি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে গেল বছর দেশ ছাড়ার এই পরিমাণ ছিল মাসে দুই হাজারের বেশি। এমনকি অন্য দেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার হারও বেড়েছে ইসরায়েলে।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, চলমান যুদ্ধের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ ইসরায়েলি দেশ ছেড়েছেন বা ছাড়ার জন্য সুযোগ খুঁজছেন। কান্তার ইনসাইটস এবং কান পাবলিক ব্রডকাস্টারের একটি জরিপের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
সংস্থাটির গত সপ্তাহে পরিচালিত জরিপ অনুসারে, অনেকে বলেছেন তারা ইতিমধ্যে চলে গেছেন। জরিপে অংশ নেওয়া ২৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন- তারা ইসরায়েল ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন। ৯ শতাংশ ইসরায়েলি বলেছেন- তারা দেশ ছাড়বেন কিনা জানেন না।
মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় ১০ লাখ ইসরায়েলি বিদেশি পাসপোর্ট নিয়েছে। সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে যেন তড়িঘড়ি নতুন ঠিকানায় চলে যাওয়া যায়, তাই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। এছাড়া চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে বিদেশে ৭০০ কোটি ডলার ট্রান্সফার করেছে ইসরায়েলিরা।
ইসরায়েলি পত্রিকার ভাষায়, এটা ব্রেন ড্রেন অর্থাৎ মেধাবিরা ইসরায়েল ছাড়ছে। কেননা, দেশ ছাড়ার এই তালিকায় ডাক্তার, বিজ্ঞানী, ফার্মাসিস্ট ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরাও রয়েছেন। তারা বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি ও নিরাপদ জীবনের আশায় ইসরায়েল ছাড়ছেন।