শহরের মাঝখানে অপূর্ব সুন্দর এক লেক। এই স্বর্গীয় দৃশ্যের দেখা মেলে অতি পরিচিত এক শহর, যার নাম আজমির। ভারতের রাজস্থানের এক পবিত্র শহর। সেখানে আরো আছে আজমির শরিফ। এই শহরটি নানা দিক থেকে পর্যটকদের কাছে ব্যাপক আকর্ষণীয় বলে বিবেচিত হয়। এই শীতে ভ্রমণ করতে পারেন আজমির, যারা ভ্রমণের চিন্তা করছেন।
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরগার কারণে এমনিতেই বিখ্যাত এই শহর। অনেকেই এ শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিষয়টা জানেন না। এর চারপাশে আপনি কেবল প্রকৃতির অপূর্ব রূপ দেখতে পারবেন।
অল্প সময়ের জন্যে হলেও যেতে পারেন পুশকারে। সেখানকার ঘাট থেকে কোনো একটা ক্যাফেতে গেলেও দারুণ অনুভূতি হবে। আজমিরের কোনো স্থানেই কখনই একঘেয়ে লাগে না। আজমির থেকে পুশকারে যেতে ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। আজমির থেকে পুশকারকে পৃথক করেছে নাগ পাহাড়। এটা কিন্তু ভারতের সবচেয়ে পুরনো শহরের একটি। তবে ঠিক কোন সময় থেকে শহরটি গড়ে উঠেছে তা জানা যায়নি।
থর মরুভূমির একেবারে ধারে অবস্থিত পুশকার। এখানকার ব্রাহমা দেবতার মন্দিরটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নামকরা। এটি তৈরি করা হয়েছিল সেই ১৪ শো শতকে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মন্দিরটি ২ হাজার বছরের পুরনো। শুধু পুরনো বলেই যে এটা মানুষ দেখতে যায় তা নয়, প্রাচীন সভ্যতার রোমাঞ্চকর অনুভূতি, সৌন্দর্য আর স্থাপত্যকলার দেখা মেলে।
আরো দেখা যাবে সাবিত্রি মন্দির। এটা পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। সেখান থেকে ভ্যালির অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার বিষয়টিও আপনাকে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দেবে। সেখানে যাওয়ার রোপওয়ে আছে। ওটা দিয়ে মাত্র ৬ মিনিটেই পৌঁছানো যায়।
আরো দেখতে পারবেন পুশকার লেক। এই লেকে ৫২টি ঘাট রয়েছে। কার্তিক পূর্ণিমাতে অবর্ণনীয় রূপে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে লেকটি।
আজমিরে গেলে আজমির শরিফ দরগা দেখার কথা আর বলতে হয় না। এটা ভারতের মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি সুফিবাদের শীর্ষস্থানীয়দের অন্যতম। সাত-সাতটি মর্মর পাথরের ভবন আছে সেখানে। এতে প্রবেশের গেটটিও দেখার মতো।
আজমিরে দেখার আরো অনেক কিছু আছে। তারাগার্থ ফোর্ট তার মধ্যে অন্যতম। আনাসাগর লেকের কথা না বললেই নয়। খাবার-দাবার মুখে লেগে থাকবে। কম খরচে থাকারও সুব্যবস্থা আছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস