বিমানবন্দরে রয়েছে সবধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। যেখানে একজন যাত্রী সহজেই বিমানবন্দরের সব ধাপ অতিক্রম করে উড়োজাহাজে চড়তে পারেন। এশিয়াতেও এমন অনেক বিমানবন্দর রয়েছে। বাংলাদেশেও শিগগিরই এমন সুবিধা পেতে যাচ্ছেন উড়োজাহাজের যাত্রীরা।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে (টার্মিনাল-৩) থাকছে আধুনিক এসব সুযোগ-সুবিধা। ২০২৩ সালের জুনে শেষ হবে অত্যাধুনিক এ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ
স্ট্রেইট এসকেলেটর
নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালটিতে বেশ কয়েকটি স্ট্রেইট এসকেলেটর লাগানো হবে। যারা বিমানবন্দরের দীর্ঘপথ হাঁটতে পারবেন না, তাদের জন্য এ ব্যবস্থা। সিঙ্গাপুর, ব্যাংককসহ বিশ্বের অত্যাধুনিক বিমানবন্দরগুলোতে বেশি যাত্রী প্রবাহের জায়গাগুলোতে এ এসকেলেটরগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি যাত্রীদের একটি শান্ত এবং মসৃণ যাত্রার অভিজ্ঞতা দেয়।
নতুন এ টার্মিনালে যাত্রীদের ব্যাগের জন্য তিনটি আলাদা স্টোরেজ এরিয়া করা হয়েছে। রেগুলার ব্যাগেজ স্টোরেজ, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড এবং অড সাইজ (অতিরিক্ত ওজনের) ব্যাগেজ স্টোরেজ।
যাত্রীদের স্বাভাবিক ওজনের ব্যাগেজের জন্য সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি ও ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের মতো অত্যাধুনিক এবং একইরকমের ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট থাকবে টার্মিনালটিতে। অতিরিক্ত ওজনের (ওড সাইজ) ব্যাগেজের জন্য স্থাপন করা হবে আরও চারটি পৃথক বেল্ট। এছাড়াও ব্যাগেজ এলাকাসহ বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা ব্যাগেজগুলোর জন্য থাকবে আলাদা লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ব্যাগেজ এরিয়া।
বেবি কেয়ার-চিলড্রেন প্লে এরিয়া, ফার্স্ট-এইড
নতুন টার্মিনালের প্রতিটি ওয়াশরুমের সামনে থাকবে একটি করে বেবি কেয়ার লাউঞ্জ। এ লাউঞ্জের ভেতর মায়েদের ব্রেস্ট ফিডিং বুথ, ডায়াপার পরিবর্তনের জায়গা এবং একটি বড় পরিসরে ফ্যামিলি বাথরুম থাকবে। এছাড়াও বাচ্চাদের স্লিপার-দোলনাসহ একটি চিলড্রেন প্লে এরিয়াও থাকবে।
নতুন টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকসহ থাকছে হেলথ ইন্সপেকশন সুবিধা, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্ট-এইড রুম, করোনাসহ নানা রোগের টেস্টিং সেন্টার ও আইসোলেশন এরিয়া।
মুভি লাউঞ্জ, ফুড কোর্ট, ওয়াই-ফাই সুবিধা
বিমানবন্দরে সময় কাটানোর জন্য নতুন এই টার্মিনালে থাকবে মুভি লাউঞ্জ, এয়ারলাইন্স লাউঞ্জ, ডে-রুম। এছাড়াও ঘোরাফেরা ও কেনাকাটার জন্য তৈরি হচ্ছে ১৪টি স্পটে ডিউটি ফ্রি শপ। টার্মিনালের বাইরে ও ভেতরে থাকবে ফুড কোর্ট, ফুড গ্যালারি, ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল চার্জিংয়ের সুবিধা।
এছাড়াও নারী ও পুরুষের জন্য রাখা হবে পৃথক নামাজের ব্যবস্থা। যাত্রীদের নিতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য মিটার্স অ্যান্ড গ্রিটার্স প্লাজাও থাকবে টার্মিনাল-৩ এ।
বিমানবন্দরের ভেতরেই মেট্রোরেল সংযোগ
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে স্বপ্নের মেট্রোরেল। তৈরি হবে পৃথক একটি স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে করে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার যেকোনো স্টেশন থেকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দরে ডিপার্চার বা বহির্গমন এলাকায় যাওয়া যাবে।
শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেট্রোরেলের এ সংযোগটি বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল থেকে নতুন বাজার, বাড্ডা হয়ে মোট ৩১ কিলোমিটার ভ্রমণ করে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত যাবে। এটি ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বা লাইন-১ নামে পরিচিত হবে।
চেক-ইন বোর্ডিং সব নিজে নিজেই
সাধারণত বিমানবন্দরে ঢুকে একজন যাত্রী চেক-ইন কাউন্টারে গিয়ে তার টিকিট দেখিয়ে বোর্ডিং পাস নেন এবং ব্যাগেজ জমা দেন। তবে অত্যাধুনিক এ টার্মিনাল ভবনে থাকবে ১০টি সেলফ চেক-ইন কিওস্ক (মেশিন)। এগুলোতে নিজের পাসপোর্ট এবং টিকিটের তথ্য প্রবেশ করালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে বোর্ডিং পাস ও সিট নম্বর। এরপর নির্ধারিত জায়গায় যাত্রী তার লাগেজ রেখে দেবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাগেজগুলো এয়ারক্রাফটের নির্ধারিত স্থানে চলে যাবে। তবে নির্ধারিত ৩০ কেজির বেশি ওজনের ব্যাগেজ নিয়ে এখানে চেক-ইন করা যাবে না। সেসব যাত্রীদের জন্য আরও ১০০টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে এ টার্মিনালে।
ইমিগ্রেশনও নিজেই
নতুন টার্মিনাল ভবনের বহির্গমন পথে ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল বা ই-গেইট থাকবে। এতে করে যাত্রীরা ইমিগ্রেশন পুলিশের মুখোমুখি না হয়ে সরাসরি নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সেরে ফেলতে পারবেন। তবে কেউ যদি না চায়, সেক্ষেত্রে ৫৬টি বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টারও থাকবে। সেখানে ইমিগ্রেশন করবে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এছাড়াও যেসব যাত্রী অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে ঢুকবেন তাদের জন্য ৫টি ই-গেট থাকবে। পাশাপাশি থাকবে ৫৪টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন কাউন্টার।
সংশ্লিষ্ট অধিদফতর জানায়, ই-গেট সবাই ব্যবহার করতে পারবে না। শুধুমাত্র ই-পাসপোর্টধারীরাই কেবল এ গেটের মাধ্যমে পার হতে পারবেন। একজন ই-পাসপোর্ট হোল্ডার যখন ই-গেটের কাছে গিয়ে ই-পাসপোর্টটি রাখবেন তখন সঙ্গে সঙ্গেই গেট খুলে যাবে। নির্দিষ্ট নিয়মে গেটের নিচে দাঁড়ানোর পর ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। এরপর সব ঠিকঠাক থাকলে ৩০ থেকে ৫০ সেকেন্ডের মধ্যেই যাত্রী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। তবে কেউ যদি ভুল করেন তা হলে লাল বাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সঠিকভাবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারে সহযোগিতা করবেন।
অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নতুন এই টার্মিনালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবে ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ১১টি বডি স্ক্যানার। টার্মিনালে প্রবেশ করা একজন যাত্রীকে বিমানে উঠা পর্যন্ত হাতের স্পর্শ ছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তল্লাশি করা যাবে। সেক্ষেত্রে যাত্রীকে বডি স্ক্যানার মেশিনের ভেতর দুহাত তুলে দাঁড়াতে হবে। এর ফলে যাত্রী ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সময় বাঁচবে। স্ক্যানিংও হবে নির্ভুল ও স্বচ্ছ।
বর্তমানে বিমানবন্দরের ভেতরের একটি জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। তবে নতুন টার্মিনাল ভবন এলাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ ফায়ার স্টেশন করা হচ্ছে। সেখানে থাকবে একজন পৃথক ফায়ার স্টেশন ম্যানেজার। থাকবে আগুন নেভানো ও জরুরি উদ্ধারকাজ করার সবধরনের সুযোগ-সুবিধা।
কারা ব্যাবহার করবে এই টার্মিনাল
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, এখনো চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত না হলেও বাংলাদেশে আসা মাঝারি ও বড় সাইজের (ওয়াইড বডি জেট) এয়ারক্রাফট এবং এর যাত্রীরা নতুন এই টার্মিনালটি ব্যবহার করবে। ছোট আকারের প্লেনের যাত্রীরা ব্যবহার করবেন পুরানো ১ ও ২ নম্বর টার্মিনাল।
বাড়বে কার্গো ও যাত্রী ধারণ ক্ষমতা
তৃতীয় টার্মিনালের রিভাইজসড ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট প্রপোজাল (আরডিপিপি) থেকে জানা গেছে, বর্তমানে বিমানবন্দরে আমদানি ও রফতানির জন্য একটি কার্গো ভিলেজ থাকলেও থার্ড টার্মিনালের উত্তর পাশে আলাদা আমদানি-রফতানি কার্গো ভিলেজ ভবন করা হবে। পৃথক কার্গো ভিলেজগুলো থাকবে বিশ্বের উন্নত দেশের বিমানবন্দরের মতো সর্বাধুনিক সুবিধাসম্বলিত। এটি হবে ৬৩ হাজার স্কয়ার মিটারের। বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের বর্তমান ধারণক্ষমতা ২ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন টন। তৃতীয় টার্মিনাল হলে এই ধারণক্ষমতা গিয়ে ঠেকবে ৪ মিলিয়ন টনে। নতুন এই কার্গো ভিলেজ দেশের রফতানি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও থার্ড টার্মিনালে দুই লাখ ২৬ হাজার স্কয়ার মিটারের একটি মডার্ন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন থাকবে। এর তিনটি ফ্লোর থাকবে। বর্তমানে বিমানবন্দরের ১ ও ২ নম্বর টার্মিনালে বছরে ৬৫ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারে। তবে তৃতীয় টার্মিনালে হওয়ার পর এই সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ২০ লাখে ঠেকবে।
১ ও ২ নম্বরের সঙ্গে ৩ নম্বর টার্মিনালের সংযোগ
প্রকল্পের প্রথম ধাপে তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে বর্তমান টার্মিনাল ভবনগুলোর কোনো যোগাযোগব্যবস্থা থাকবে না। তবে প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে কানেকটিং করিডোরের মাধ্যমে পুরনো টার্মিনাল ভবনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে মাল্টি লেভেল কার পার্কিং বিল্ডিং ভবন নির্মাণ করা হবে। সেখানে এক হাজার ৪৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে কাজ : বিমান প্রতিমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘টার্মিনালের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে এবং ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যেই তা যাত্রীদের ব্যাবহারের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।’
পুরো টার্মিনাল হবে অটোমেটেড : বেবিচক চেয়ারম্যান
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘তৃতীয় টার্মিনাল হবে অটোমেটেড (স্বয়ংক্রিয়)। এতে যাত্রী ও কার্গোর ধারণ ক্ষমতা অনেক বাড়বে। এ প্রকল্পের কাজ আমি ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করছি। করোনাকালেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্মাণকাজ চলেছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ সম্পন্ন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বিমানবন্দর বিশ্বের দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি হবে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকাংশেই কমবে। পাশাপাশি এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
দারিদ্র্যতা কমাবে থার্ড টার্মিনাল
বেবিচক বলছে, তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হলে বাংলাদেশে অনেক পর্যটক আসবে। এতে বিদেশিরাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহী হবে। কার্গো হ্যান্ডেলিং সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় রফতানি ও জিডিপি বৃদ্ধি পাবে, যা পরোক্ষভাবে দেশের দারিদ্র্যতাকে হ্রাস করবে।
বুর্জ খালিফা-টুইন টাওয়ারের নির্মাতারা বানাচ্ছেন থার্ড টার্মিনাল
টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করছে স্যামসাং গ্রুপের কনস্ট্রাকশন ইউনিট স্যামসাং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ট্রেডিং (সিঅ্যান্ডটি) করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটির নির্মিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে বুর্জ খলিফা, পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, তাইপে ১০১, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনাল, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আবুধাবির ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা উন্মোচনের মাধ্যমে নির্মাণে আধুনিকতা নিয়ে এসেছে স্যামসাং সিঅ্যান্ডটির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন গ্রুপ।
এছাড়াও টার্মিনালের ভেতরের ভবনটির নকশা তৈরি করেছেন বিখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। তিনি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের টার্মিনাল-৩, চীনের গুয়াঞ্জুর এটিসি টাওয়ার ভবন, ভারতের আহমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইসলামাবাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের নকশা তৈরি করেন।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।