খরচ কমাচ্ছে গুগল। বিশ্ব মন্দার প্রভাব পড়েছে পৃথিবীর সমস্ত টেক সংস্থাগুলিতে। আমাজন, মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে গুগল, হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে ছোটবড় সমস্ত সংস্থাগুলিই।
ইতিমধ্যেই 12,000 কর্মী ছাঁটাই করেছে গুগল। কাটছাঁট করা হয়েছে কর্মীদের বেতনেও। বাদ যাননি গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইও। হাত পড়েছে তার বেতনেও। দিন কয়েক আগে ফের সাড়ে চারশো জনের কাছাকাছি ভারতীয় কর্মীকে ফের ছাঁটাই করে গুগল। টুইটারের পথে হেঁটে এবার অফিসের চেয়ারটেবিল পর্যন্ত কমাতে শুরু করেছে গুগল। সম্প্রতি গুগলের বেশ কয়েকটি অফিসের কর্মীদের একই ডেস্ক শেয়ার করতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
এখানেই শেষ নয়। এবার গুগলের এক্সপেরিমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে ছাঁটাই করা হচ্ছে রোবটদেরও। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে গুগলে। অ্যালফাবেটের গোপন এক্স মুনশট ল্যাব থেকে সেগুলিতে পাঠানো হয়েছিল গুগলের এক্সপেরিমেন্ট ডিপার্টেমেন্টে। সেখানে এমন অনেক রোবট বহাল করা হয়েছিল, যারা দক্ষতার সঙ্গে ক্যাফেটেরিয়া টেবিল পরিষ্কার করত, দরজা খোলা-বন্ধও করত। তবে এই মন্দার জমানায় চাকরি যেতে চলেছে তাদেরও
এভরিডে রোবটস টিম একশোরও বেশি এক হাত বিশিষ্ট রোবট তৈরি করেছিলেন ওই দফতরের কর্মীরা। শুধু তৈরিই করেননি, রীতিমতো প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল তাদের। ক্যাফেটেরিয়ার টেবিল পরিষ্কার, দরজা খোলা বন্ধ করা, এমনকি জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজও দক্ষতার সঙ্গে সেরে ফেলল রোবটগুলি। অতিমারি চলাকালীন সংস্থার পরিচ্ছন্নতা পরীক্ষা করার দায়িত্বও ছিল সেই রোবটগুলির কাঁধে।
কিন্তু মন্দার কোপ সামলাতে এবার ছাঁটাইয়ের খাঁড়া নামছে সেই রোবটগুলির কাঁধেই। সূত্রের খবর, এক্সপেরিমেন্টাল ডিপার্টমেন্টের ওইসব এভরিডে রোবটগুলিকে শাট ডাউন করতে চলেছে গুগল। খরচ কমাতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে গুগল। এভরিডে রোবটসের মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ডেনিস গাম্বোয়া জানিয়েছেন, সমস্তটা না হলেও ওই প্রযুক্তির একটি অংশ অর্থাৎ কিছু সংখ্যক রোবটকে গুগল রিসার্চের রোবটিকস ডিপার্টমেন্টে মিশিয়ে দেওয়া হবে। আলাদা করে তার জন্য কোনও টিম থাকছে না বলেই জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ওই দফতরের কর্মীদের ভবিষ্য়ৎ নিয়েও। গুগলের এই প্রজেক্টটিতে কাজ করতেন অন্তত 200 জন রোবটিকস বিশেষজ্ঞ। তাঁদের নামও কি উঠতে চলেছে রোবটদের মতোই বাতিলের খাতায়? সংশয় থাকছেই। এ বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি গুগলের অ্যালফাবেট ইন বা তরফে কেউই।