কো ফি-ফি দ্বীপপুঞ্জ:
কো ফি-ফি দ্বীপপুঞ্জ তাদের নান্দনিক বা শিল্প-রুচিসম্মত সৌন্দর্যের জন্য অতি পরিচিত এবং প্রতি বছর বিশাল সংখ্যক পর্যটক এখানে আসেন। বর্তমানে সামুদ্রিক বিনোদনমূলক কার্যক্রম যেমন স্নরকেলিং এবং স্ক্যুবা ডাইভিং-এর জন্য কো ফি-ফি হল বিশ্বের এক অন্যতম প্রসিদ্ধ গন্তব্যস্থল। পর্যটকদের জন্য প্রচুর চিত্ত-বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এ ছাড়া এখানে ক্রুজ, ক্লিফ ডাইভিং, রক ক্ল্যাইম্বিং এবং মাছ ধরা বা ফিশিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
নর্দান হিল ট্রাইবস:
উত্তর থাইল্যান্ডের দিকে লুকিয়ে আছে থাইল্যান্ডের এমন এক জগত যা সাধারণ পর্যটকদের হাতের নাগালের একটু বাইরে। উত্তর থাইল্যান্ডের এই অঞ্চলটির নাম নর্দার্ন হিল ট্রাইবস। ট্র্যাকিং করে যে কেউ আসতে পারবে এখানে আর এখানকার যে কোনো গ্রামে কাটাতে পারবে ছুটির কয়েকটি স্মরণীয় দিন। যেহেতু অধিকাংশ আদিবাসীই অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল, তাই এখানে থাকার খরচও কম।
চিয়াং মাই:
চিয়াং মাই থাইল্যান্ডের প্রধান উত্তরাঞ্চলীয় শহর। এটি ব্যাংকক থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। থাইল্যান্ডের অন্যরকম জঙ্গল দেখতে গেলে যেতে হবে চিয়াং মাইয়ে। চিয়াং মাইকে বলা হয় থাইল্যান্ডের উত্তরের রাজধানী। সংস্কৃতি এবং অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণ এই শহর। সংস্কৃতি নিয়ে যাদের আগ্রহ তাদের প্রথম পছন্দ হতে পারে চিয়াং মাই। কেননা এখানে আছে পাঁচশ’রও বেশি মন্দির। শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরকেও মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবে চিয়াং মাই এর রাত্রিকালীন চিড়িয়াখানা। রয়েছে সুদৃশ্য জঙ্গলের ভেতরে হাইকিং ও খরস্রোতা নদীতে র্যাফটিং করার সুযোগ। থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ডোই ইথানান রয়েছে চিয়াং মাইতে। পাহাড়ি উপজাতি, অসংখ্য জলপ্রপাত, থাই হাতির অভয়ারণ্য সব মিলিয়ে অসাধারণ এক জায়গা চিয়াং মাই। ব্যাংককের তুলনায় চিয়াং মাই রাতের বেলা কিছুটা নিরিবিলি। তবে তার মানে এই না যে, আপনাকে হোটেলে বসে থাকতে হবে। রয়েছে অসংখ্য বার ও শপিং করার জন্য রাতের বাজার। যেখানে আপনি পাবেন, নানান ধরনের ঐতিহ্যবাহী থাই জিনিসপত্র।
বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডের ভিসা আপনি দুইভাবে করতে পারেন। নিজে অথবা এজেন্সি-কে দিয়ে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ভিএফএস অর্থাৎ থাই দূতাবাস ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে।
থাই দূতাবাসে আপনাকে ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। ব্যাংকে কমপক্ষে ৬০ হাজার টাকা থাকতে হবে। আর ফ্যামিলি ভিসার জন্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থাকতে হবে। এটা অফিশিয়াল রিকোয়ারমেন্ট, তবে এর বেশি টাকা থাকলে ভালো। আর একাউন্টে রেগুলার ট্রানজেকশন থাকা আরও ভালো।
আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লিভ লেটার দিতে হবে আর অভিভাবকের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সলভেন্সি সার্টিফিকেট দিতে হবে। সাথে আপনার অভিভাবক আপনার ট্যুরের খরচ দিচ্ছে এমন একটা লেটারও দাখিল করতে হবে। সাথে অভিভাবকের ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিতে হবে।
ভিসা ফি
সিঙ্গেল এন্ট্রি টুরিস্ট ভিসার জন্য ৩৭৪০ টাকা ভিসা ফি জমা দিতে হয়। যেদিন ভিসার পেপার জমা দিতে যাবেন সেখানেই ফি দিতে হবে।
গুলশান ভিএফএস-এ গিয়ে জমা দিতে হবে সব পেপার। খুব সকাল সকাল চলে যাওয়া ভাল। সকাল ৭ টার মধ্যে সেখানে পৌঁছুলে সবচেয়ে ভাল। প্রতিদিন নির্দিষ্ট জমা নেবার লিমিট আছে। ভিএফএস প্রতিদিন ৩০০ এপ্লিকেশন জমা নেয় তাদের ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের সেন্টার মিলে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এই সময় টা খুব চাপ থাকে ভিসার।
জমা দেবার পর
পাসপোর্ট জমা দেবার পর ৫-৭ কার্যদিবসের মধ্যে আপনার পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। নিজে সাবমিট করলে দ্রুত পাবেন। এই সময়ের মধ্যে আপনাকে এমব্যাসি থেকে ফোন দেওয়া হবে। কল দেবার কারণ হলো ভেরিফাই করা আপনি ভিসা জমা দিয়েছেন কিনা? কেন যাবেন? দেশে কি করেন? এসব জিজ্ঞেস করবে। অনেকটা ভিসা ইন্টারভিউ বলা যায়। প্রথমবার ভিসার ক্ষেত্রেই তারা কল দিয়ে থাকে।
থাইল্যান্ড তিন মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা ইস্যু করে। এই তিনমাস হল আপনার থাইল্যান্ডে ঢোকার জন্য নির্ধারিত সময়। এই তিন মাসের মধ্যে যেদিন ঢুকবেন সেদিন থেকে ৬০ দিন বা ২ মাস থাকার অনুমতি পাবেন।
থাই রি এন্ট্রি ভিসা
আপনি যেদিন থাইল্যান্ডে ঢুকবেন সেদিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আবার যদি থাইল্যান্ডে আসতে চান তবে থাইল্যান্ডের রি-এন্ট্রি ভিসা নিতে পারেন। অনেকেই থাইল্যান্ড থেকে পাশের দেশ ক্যাম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ঘুরতে যেতে চায়। থাইল্যান্ড থেকে পাশের দেশগুলোর রিটার্ন টিকেট অনেক সস্তায় মিলে।