আকাশপথের ভ্রমণে যদি পাঁচ তারকা বিলাসবহুল হোটেলের মতোন সেবা পাওয়া যায় তাহলে তো মন্দ হয় না। তবে এর জন্য বেছে নিতে হবে সঠিক বিমান। পর পর ছয় বার ইউরোপের সেরা বিমানসংস্থা, বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রিমিয়াম ইকোনমির জন্য পুরস্কৃত বিমানের থেকে ভালো আর কি হতে পারে। এটি আর কোনোটিই নয়, তুরস্ক-এর বিমান টার্কিশ এয়ারলাইনস। এটি তুরস্কের জাতীয় পতাকা বহনকারী বিমান যা সর্বকালের সেরা বিমানসংস্থা।
১৯৩৩ সালের ২০মে টার্কিশ এয়ারলাইনস এর যাত্রা শুরু হয়। আস্তে আস্তে এটি বৃহৎ আকারে বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে প্রায় ১২০ টির মতো দেশে ভ্রমণ করে ৩০০ টির বেশি গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। হেড কোয়ার্টার অবস্থিত তুরস্কের ইস্তামবুলে।
টার্কিশ এয়ারলাইনস তার সেবা এবং লাউঞ্জের জন্য বেশি পরিচিত লাভ করে। অল্প কিংবা দীর্ঘ সময় ভ্রমণকে আরামদায়ক ও আকর্ষণীয় করে দেয় এই বিমানসংস্থা। এর প্রিমিয়াম সার্ভিসের জন্য মূলত এরা বাকি বিমান গুলো থেকে আলাদা। বিমানের কেবিনগুলো খুবই সুন্দর করে বানানো। বিলাসবহুল হোটেলের থেকে কোনো অংশে কম না বলাই শ্রেয়। খাবার মান যেমন ভালো খেতেও মজাদার এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও রয়েছে বিশেষ ভাবে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ।
দীর্ঘ সময় ভ্রমণ হলে রয়েছে শোয়ার বা ঘুমের ব্যবস্হা,চেয়ার ম্যাসাজ। ক্লান্তি ভাবে দূর করার জন্য রয়েছে গান শোনা, টিভি দেখা, বই পড়ার ব্যবস্হাও। মোবাইল, ল্যাপটপ সহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্র চার্জ দেওয়ার ব্যবস্হা।
অনেক সময়ে দেখা যায় ভ্রমণের সময়ে স্পোর্টস কিট, মিউজিকাল জিনিস সহ অনেক কিছু নেওয়া লাগে। এর জন্য রয়েছে এখানে বিশেষ বড় লাগেজের জায়গা। কোনো পোষা প্রাণী নিতে চাইলে তার জন্যও রয়েছে বিশাল সুব্যবস্হা। শিশু কিংবা বয়স্কদের জন্য সবসময় সেরা এই বিমান সংস্থা।
শুধু যে ভ্রমণের সময়টুকুই সেবা সরবরাহ করে থাকে তা নয়। বিমানবন্দরে আসার পর নিজে দায়িত্বে বিমানে তুলে দেয় আবার দরকার হলে নামার পরও বিমানবন্দরে বাইরে দিয়ে আসার জন্য রয়েছে গাড়ির ব্যবস্হা। সর্বোপরি যাত্রীকে নিরাপদ ভ্রমণের জন্য সব রকম সেবাই পাওয়া যায় টার্কিশ এয়ারলাইনস থেকে। এরই জন্য হাজারো এয়ারলাইনস এর মধ্যে টার্কিশ এয়ারলাইনসই সেরা।