২০১৮ সালে তুরস্ক সরকারের তুর্কিয়ে বুর্সলারি বৃত্তি নিয়ে ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। প্রথম ১০ মাস মূলত তুর্কি ভাষা শিখতে হয়েছে। ২০১৯ সালে শুরু হয় আমার স্নাতক পর্যায়ের ক্লাস। স্নাতক শেষে এ বছর স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছি। ক্লাস শুরু হবে সেপ্টেম্বরে।
ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। এখানে আমার বিভাগেই পড়াশোনা করেছেন নোবেলজয়ী বিখ্যাত সাহিত্যিক ওরহান পামুক। স্নাতক অধ্যয়নকালে দুটি সেমিস্টার পড়ার জন্য আমি জার্মানির হ্যানোভারে ও চেক রিপাবলিকের প্রাগে এরাসমাস প্লাস বৃত্তি পেয়েছিলাম।
তুরস্কে পড়ার জন্য নানা ধরনের বৃত্তি আছে। নিজস্ব অর্থায়নেও পড়তে পারেন। এখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কম। যাঁরা আছেন, তাঁদের বেশির ভাগ ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। অন্যান্য শহরে সংখ্যাটা তুলনামূলকভাবে কম। অথচ সুযোগ কিন্তু আছে।
এখানকার মেডিকেলে পড়াশোনা বেশ কঠিন, তবু আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্তাম্বুল টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কোছ বিশ্ববিদ্যালয়, বোয়াজিছি বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়িলদিজ টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, মিডল-ইস্ট টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, হাজেতেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ সুনাম আছে। ইংরেজি ভাষায়ও পড়তে পারেন। তবু তুর্কি ভাষা শিখে নিলে সুযোগ বেশি।
তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত স্নাতকের জন্য আবেদনের সময় বয়স ২১ বছরের নিচে, স্নাতকোত্তরে বয়স ৩০ বছরের নিচে ও পিএইচডিতে ৩৫ বছরের নিচে হতে হয়। টোয়েফল/স্যাট/জিআরই সনদ থাকলে ভালো, তবে অনেক ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়। সুপারিশপত্রসহ (রেফারেন্স লেটার) সহশিক্ষা কার্যক্রমের সনদ বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তুরস্ক সরকারের বৃত্তির আওতায় স্নাতক পর্যায়ে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ৭০ শতাংশ এবং স্নাতকোত্তর-পিএইচডির জন্য স্নাতক-স্নাতকোত্তরে ৭৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হয়। এই ওয়েবসাইট থেকে তুরস্ক সরকারের বৃত্তিসম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।