বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

তিউনিশিয়া-লিবিয়া সীমান্তে অভিবাসীরা বিক্রি হয় ‘পণ্যের মতো’

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া সীমান্তে অভিবাসীদের ঘিরে বেআইনি ব্যবসা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গবেষকদের একটি যৌথ দল। প্রতিবেদনটি ২৯ জানুয়ারি ইউরোপীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। রিসার্চ অ্যান্ড রিসার্চারস বা আরআরএক্স নামের অজ্ঞাতপরিচয় গবেষকদের একটি দল এই নথিটি তৈরি করেছে।ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য অনুসারে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিশিয়া ও লিবিয়া কর্তৃপক্ষ সীমান্তে আসা পুরুষ, নারী ও শিশু অভিবাসীদের নিয়ে ব্যবসা করে।

যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তিউনিশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে।২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিউনিশিয়া থেকে লিবিয়ায় পুশব্যাকের শিকার সাব-সাহারা আফ্রিকার ৩০ অভিবাসীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে পুরো প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধ, নির্বিচারে আটক, জাতিগত বৈষম্য, জাতিগত ঘৃণার প্ররোচনা, জোরপূর্বক অন্তর্ধান, নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।তিউনিশিয়ার সরকার এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনো জবাব দেয়নি। 

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের বর্ণবাদী বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে বেড়েছে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর সহিংসতার ঘটনা। ইনফোমাইগ্রেন্টস মরুভূমিতে বিতাড়নের শিকার অভিবাসীদের কাছ থেকে নিয়মিত বিভিন্ন সাক্ষ্য সংগ্রহ করে আসছে।আরআরএক্স গবেষক দলের প্রতিবেদন অনুসারে, সীমান্তে অভিবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে ৪০ থেকে ৩০০ দিনার পর্যন্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানির বিনিময়েও অভিবাসীদের সঙ্গে বেআইনি ব্যবসা করে কর্তৃপক্ষ।

এক অভিবাসী প্রতিবেদনে বলেন, ‘তারা আমাদের পণ্যের মতো বিক্রি করে দিয়েছিল। তিউনিশিয়ার সেনারা আমাদের সীমান্ত পার হতে এবং লিবিয়া পুলিশের ভ্যানের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল।বিক্রি হওয়া বন্দিদের মধ্যে পুরুষ, নারী (যাদের মধ্যে কেউ কেউ গর্ভবতী ছিলেন), দম্পতি, শিশু ও অভিভাকহীন অপ্রাপ্তবয়স্করাও রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com