শহুরে যান্ত্রিক জীবন থেকে মুক্তি পেতে প্রতিনিয়ত ট্যুর এবং ট্রাভেল বিষয়ক যাবতীয় চাহিদা বাড়ছে। মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি আকৃষ্ট হচ্ছে সেসব জায়গার খাদ্য এবং জীবনযাপনের ধরন সম্পর্কে। ক্ষেত্র বিশেষে জায়গাভেদে বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারও স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়েছে। আমাদের দেশেরই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত খাবারদাবারের কিছু তার অপ্রচলিত স্বাদ এবং চমকপ্রদ রন্ধনশৈলীর কারণে জায়গা করে নিয়েছে আমজনতার মাঝে। বান্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চেখে দেখা পাহাড়ি স্পেশাল মুন্ডি স্যুপ এবং চাটনি।আরেকবার বান্দরবন গিয়ে খাওয়ার সময় ও সুযোগ খুব সহজে নাও মিলতে পারে। কিন্তু এই খাবারের স্বাদ থেকে যাতে আপনি বঞ্চিত না হন তার জন্য বাণিজ্যিক এলাকা চট্টগ্রামেই রয়েছে তাজিংডং মুন্ডি এন্ড টিক্কা হাউস (Tajing Dong Munda & Tikka House)। পলোগ্রাউন্ড বাণিজ্য মেলার মাঠের টিকিট কাউন্টার এর বিপরীতে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টের বিশেষত্ব হচ্ছে পাহাড়ি খাবার-দাবারের আয়োজন। হাতে একদিন সময় থাকলে রসনাবিলাসের জন্য চট্টগ্রামের এই রেস্তোরাটি হয়ে উঠতে পারে অনন্য। এছাড়া ঘোরার জন্য নগরীর বিভিন্ন জায়গা তো রয়েছেই। একই সাথে ভোজন বিলাস এবং শহরজুড়ে ছড়ানো বিভিন্ন জায়গায় হয়ে যেতে পারে মনে রাখার মত ট্যুর।এখানকার সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে চিকেন ঝাল মুন্ডি স্যুপ। কক্সবাজারের টেকনাফের স্থানীয় রেসিপিতে বানানো এই স্যুপের এক বাটির দাম পড়ে ১০০ টাকা। এছাড়া মেন্যু দেখে স্টক অনুযায়ী মাছ বেছে নিয়ে পছন্দ অনুযায়ী ফিশ ফ্রাইয়েরও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। মাছভেদে এর দাম শুরু হয় মাত্র ৫০ টাকা থেকে। তবে, এখানকার পাহাড়ি খাবার জনসাধারণের কাছে জনপ্রিয় হলেও পাহাড়ি খাবার ছাড়া এখানে পাওয়া যায় বিভিন্ন ভর্তা ও বিরিয়ানির সম্ভার। আলু ভর্তা, শুটকি ভর্তা, পাহাড়ি চিকেন ভর্তা, টমেটো ভর্তা কিংবা বেগুন ভর্তার সাথে পেয়ে যাবেন ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতও।
যেভাবে যাবেন :
ট্রেনে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে হলে মহানগর প্রভাতী, চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি, সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং তূর্ণা প্রতিদিন সকাল, বিকেল এবং রাতে ছেড়ে যায়। ট্রেনে যেতে হলে ভাড়া পড়তে পারে ১৬০-১,১০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া বাসে যেতে হলে ঢাকার সায়দাবাদ বাস স্টেশন থেকে সৌদিয়া, গ্রিন লাইন, সিল্ক লাইন, সোহাগ, বাগদাদ এক্সপ্রেস, ইউনিক এই বাসগুলো নিয়মিত বিরতিতে প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ভাড়া ৮৫০-১,১০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া এস আলম, সৌদিয়া, ইউনিক, শ্যমলী, ঈগল এবং হানিফের সাধারণ বাসগুলোতে ভাড়া পরে ৪০০-৫০০টাকা।
ট্রেনে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে হলে মহানগর প্রভাতী, চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি, সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং তূর্ণা প্রতিদিন সকাল, বিকেল এবং রাতে ছেড়ে যায়। ট্রেনে যেতে হলে ভাড়া পড়তে পারে ১৬০-১,১০০ টাকার মধ্যে। চট্টগ্রাম শহরে এসে বাস থেকে নেমে যেতে হবে ওয়াজি উল্লাহ ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের পশ্চিম পাশে। এখানকার পলোগ্রাউন্ড বাণিজ্য মেলার টিকেট কাউন্টারের বিপরীতেই দেখা মিলবে তাজিংডং রেস্টুরেন্টের।