সোমবার (২৯ এপ্রিল) আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, নতুন এই টার্মিনাল নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। নির্মাণ শেষ হলে টার্মিনালটি হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এবং আকার হবে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাঁচগুণ বড়। বছরে ২৬ কোটি যাত্রী এ বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারবেন।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সমস্ত কার্যক্রম আগামী বছরগুলোতে নতুন আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে জানিয়ে রোববার (২৮ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নতুন প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের বাচ্চাদের এবং তাদের বাচ্চাদের জন্য ক্রমাগত এবং স্থিতিশীল বিকাশ নিশ্চিতে কাজ চলছে। দুবাই হবে বিশ্বের বিমানবন্দরের হাব এবং এর নতুন বৈশ্বিক কেন্দ্র।
তিনি আরও জানান, আল মাকতুম বিমানবন্দরটি ২০১০ সালে চালুর পর থেকে যাত্রীদের যাতায়াতের কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে পারেনি। তবে একবার সম্পূর্ণ হলে রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহণ সংস্থা এমিরেটস ও স্থানীয় বিমান সংস্থাগুলোর নতুন বাড়ি হবে বিমানবন্দরটি। এতে পাঁচটি সমান্তরাল রানওয়ে এবং ৪০০টি টার্মিনাল গেট থাকবে।
এদিকে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিইও পল গ্রিফিথস বলেন, এই উন্নয়ন একটি নেতৃস্থানীয় বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে দুবাইয়ের অবস্থানকে মজবুত করবে।
উল্লেখ্য, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টানা ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরে পরিণত হয়েছে; যা এর সক্ষমতাকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। গত বছর প্রায় ৮ কোটি ৭০ লাখ যাত্রী ট্রানজিট হাব ব্যবহার করেছিল।