২০৪০ সালের মধ্যে অন্তত. এক কোটি বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশে আনতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্য নিয়ে পর্যটনের উন্নয়নে ডিসেম্বরেই চূড়ান্ত হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। এই মহাপরিকল্পনার আওতায় এক হাজার ৫১টি পর্যটন স্পট চিহ্নিত করে সেগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার চূড়ান্ত সুপারিশ করবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান – আইপিই গ্লোবাল। তাদের পরামর্শে ঢেলে সাজানো হবে সকল পর্যটন কেন্দ্র, জানিয়েছেন বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ছাড়াও সুন্দরবন ও রাঙামাটিসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পর্যটন স্থাপনা। পাহাড়, হাওর বা বনাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রেখে কী করে সব স্থাপনা পর্যটনবান্ধব করা যায় সে বিষয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত পরামর্শক দল। দীর্ঘ ৪ বছরের চেষ্টায় চূড়ান্ত রূপ পেতে যাচ্ছে সরকারের নতুন মহাপরিকল্পনা।
বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশের পর্যটনের মাস্টারপ্ল্যান তৈরির অভিজ্ঞতায় স্কটল্যাণ্ডের গবেষক, মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতি কমিটির টিম লিডার বেঞ্জামিন ক্যারি এ প্রসঙ্গে বলেন, পরিকল্পনামাফিক বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশের পর্যটনেও আমূল পরিবর্তন সম্ভব।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানালেন, ৮টি জোনে বিভক্ত মাস্টারপ্ল্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের পরই ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের মূল চ্যালেঞ্জ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বলে তিনি উল্লেখ করেন।