ঢাকা থেকে কলকাতা বিমানের ভাড়া ও ফ্লাইটের সময়সূচি নিয়ে এই পোস্ট। ভ্রমণ, কেনাকাটা, চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের পছন্দের শহর কলকাতা। আকাশপথে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ারের মোট ৪টি ফ্লাইট চলাচল করে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
ঢাকা থেকে কলকাতায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রতিদিন ১টি ফ্লাইট চলাচল করে। ঢাকা থেকে ফ্লাইটটি প্রতিদিন সকাল ১০টায় কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কলকাতা থেকে ঢাকায় ফেরার ফ্লাইট ছাড়ে ১১ টা ৩০ মিনিটে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রতিদিন ঢাকা টু কলকাতা রুটে প্রতিদিন ১টি এবং বুধবার ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। সব মিলে সপ্তাহে তাদের ফ্লাইট সংখ্যা ৮টি।
ঢাকা থেকে একমাত্র ফ্লাইটটি প্রতিদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে রওনা হয়। কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে।
বুধবার বিমানের ২টি ফ্লাইট চলাচল করে। প্রথম ফ্লাইটটি সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে এবং দ্বিতীয় ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঢাকা ছাড়ে। কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট ছাড়ে সকাল ১১টা ৫০ এবং রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে।
নভোএয়ার
নভোএয়ার বর্তমানে ঢাকা – কলকাতা – ঢাকা রুটে প্রতিদিন ১টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়। কলকাতা থেকে ফ্লাইটটি প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
উন্নত সেবা ও কম ভাড়ার কারণে ঢাকা – কলকাতা রুটে বিমান ভ্রমণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঢাকা থেকে কলকাতার বিমান ভাড়া সবসময় পরিবর্তনশীল। ভ্রমণের তারিখ অনুযায়ী ভাড়া পরিবর্তিত হতে পারে।
সবধরনের ট্যাক্স ও সারচার্জ মিলে ইকোনমি ক্লাসে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ঢাকা থেকে কলকাতার সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ হাজার ৩৮৮ টাকা। রিটার্ন ভাড়া সর্বনিম্ন ১৩ হাজার ৮৪১ টাকা।
ঢাকা থেকে কলকাতা রুটে বিমান বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ভাড়া ৬ হাজার ৮২২ টাকা এবং রিটার্ন ১৩ হাজার ৭৪৬ টাকা।
সকল প্রকার সারচার্জসহ নভোএয়ারের ঢাকা-কলকাতা রুটের সর্বনিম্ন ভাড়া ৬ হাজার ৮৮৪ টাকা। রিটার্ন ভাড়া ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা।
আকাশপথে ঢাকা থেকে কলকাতায় যেতে অবশ্যই পাসপোর্টে ভিসা থাকতে হবে। আপনার পছন্দের এয়ারলাইন্সের অফিস অথবা অনুমোদিত এজেন্ট থেকে ঢাকা থেকে কলকাতার বিমান টিকিট কাটতে পারেন। এছাড়া ওয়েবসাইটগুলো থেকেও টিকিট করতে পারবেন।
নিয়ম অনুযায়ী ইকোনমি যাত্রীরা প্রত্যেকে ২০ কেজি পরিমাণ মালামাল বহন করতে পারবেন। এছাড়া কেবিন লাগেজ হিসেবে ৭ কেজি মালামাল বহন করা যাবে। বিজনেস ক্লাসের যাত্রীরা ৩০ কেজি মালামাল এবং ৭ কেজি কেবিন লাগেজ বহন করতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি লাগেজ পরিবহন করতে চাইলে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে।