বছর ঘুরে এবারো কাশফুলের ‘সাদা ডালি’ সাজিয়ে বসে আছে শরৎ। দক্ষিণা বাতাসে কাশফুলগুলো ঢলে ঢলে কথা বলবে আপনার সঙ্গে। আহ্বান জানাবে তার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। শরতের কাশফুলের এ রূপ সহজেই যে কারো চিত্তে দোলা দিতে বাধ্য করবে। কিন্তু কোথায় পাবেন কাশফুলের রাজ্য? এই আয়োজনে ঢাকা ও এর আশেপাশে কাশবনের সন্ধান দেয়া হলো-
বসুন্ধরা ৩০০ ফিট: কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল যেতে হয় ৩০০ ফিট রাস্তা ধরে। এই রাস্তার দুই ধারেই রয়েছে অসংখ্য কাশবন। চাইলে হেঁটে হেঁটেই ঘুরে দেখা যায়। রিকশা করেও ঘুরতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঘণ্টায় প্রতি ভাড়া গুনতে হবে ১০০ টাকা। কালো কুচকুচে পিচঢালা রাস্তার দুইপাশে শুভ্রতার সমারোহ মনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় কল্পনার রাজ্যে।
আফতাবনগর: রাজধানীর আফতাব নগরের ফাঁকা জমিতে শরতের সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে আছে কাশফুল। পরিবার নিয়ে এই ঋতুতে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও। তবে বিকেলে যাওয়াই ভালো।
দিয়াবাড়ি: উত্তরা দিয়াবাড়িতে প্রচুর কাশবন রয়েছে। কাশবনের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি ফটোসেশনে জন্য দিয়াবাড়ি একটি আদর্শ জায়গা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে বিনোদনপ্রেমীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। আর কাশবনের পাশে নদীর তীরের হিমেল বাতাস আলোড়িত করে দর্শনার্থীদের।
কেরানীগঞ্জ: বাবুবাজার বুড়িগঙ্গা সেতু অতিক্রম করে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে ধরে যেতে থাকলে দেখা পাওয়া যাবে কাশবন। এখানে কাশবনের পরিমান এতই বেশি যে পুরো এলাকা কাশফুলে সাদা হয়ে থাকে।
মায়াদ্বীপ: মেঘনার বুকে কাশফুলের মায়া ছড়িয়ে আছে মায়াদ্বীপ। এই দ্বীপে শুধু কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগই নয়, বোনাস হিসাবে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গেও পরিচিত হতে পারবেন। ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে চড়ে বৈদ্দের বাজার এসে সেখান থেকে মেঘনার ঘাট হয়ে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে মায়াদ্বীপ যাওয়া যায়।
কাশফুল বেশিদিন থাকে না, তাই কাশফুলের ছোঁয়া পেতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যান আপনার সুবিধা মতো জায়গায়।
ডেইলি বাংলাদেশ