একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের প্রচার ও প্রসার নিশ্চিত করে থাকেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে এ পেশার চাহিদা বেশি।
সাধারণ পদবী: ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ, ডিজিটাল মার্কেটিং অফিসার, ডিজিটাল মার্কেটার
বিভাগ: মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন ও সেলস
প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি, ফ্রিল্যান্সিং
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল-টাইম, চুক্তিভিত্তিক
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: ১ – ২ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳১৫,০০০ – ৳২০,০০০
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স: ২২ – ২৫ বছর
মূল স্কিল: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জ্ঞান, যোগাযোগের দক্ষতা
বিশেষ স্কিল: সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করতে পারা, সৃজনশীল চিন্তা করার ক্ষমতা, ব্যবসায়িক ধারণা
এ পদটি সাধারণত প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানিতে পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রজেক্টে ডিজিটাল মার্কেটিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সার্ভিস ভেদে যোগ্যতার ধরন আলাদা হয়।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে এ পদের জন্য ন্যূনতম ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হবে আপনার। অনেক ক্ষেত্রে আইটি বা মার্কেটিংয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেয়া হয়।
বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। সাধারণত আপনার বয়স কমপক্ষে ২২ বছর হতে হবে।
অভিজ্ঞতাঃ এ পেশায় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য রয়েছে। সাধারণত ১-২ বছরের ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা কাজে আসে।
মূলত প্রতিষ্ঠানের চাহিদার উপর দক্ষতা ও জ্ঞান দরকার হয়। সাধারণত নিচের টেকনিক্যাল দক্ষতাগুলো থাকলে প্রায় সব জায়গায় কাজ করার সুযোগ পাবেনঃ
এছাড়াও আপনার প্রয়োজনঃ
মার্কেটিংয়ের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি নেবার সময় সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর পড়াশোনা করানো হয়। তবে আপনি যদি মার্কেটিং বা বিজনেস ব্যাকগ্রাউন্ডের না হয়ে থাকেন, তাহলে বিভিন্ন কোর্স ও ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে আপনার জন্য।
বিশেষ এ ক্যারিয়ার ট্র্যাক প্রোগ্রামে আপনি প্র্যাকটিক্যাল প্রজেক্ট আর অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসাবে চাকরি পাবার যাবতীয় কাজ শিখবেন। ৬ মাসের ট্রেনিংয়ে খরচ পড়বে ৳১৬,০০০।
মাসিক আয় কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ। গড়ে ৳১৫,০০০ – ৳২০,০০০ বেতন দিয়ে এন্ট্রি লেভেলের চাকরি শুরু হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ভালো উপার্জনের জন্য নিজের কাজের খুব ভালো পোর্টফোলিও থাকা ছাড়া বিকল্প নেই।
সাধারণত মার্কেটিং বিভাগের এন্ট্রি লেভেলে আপনার কাজ শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে জুনিয়র বা সহকারী এক্সিকিউটিভের দায়িত্ব পেতে পারেন। পরে সিনিয়র পদে উন্নীত হবেন।
ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সবচেয়ে উঁচু পদ পেতে পারেন মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক বা প্রধান হিসাবে।