সদ্য নির্মিত ডাজিং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে প্রতি ঘন্টায় ৩০০টি বিমান উড্ডয়ন বা অবতরন করতে পারবে। ডাজিং বিমান বন্দরটি সম্পূর্ণ স্টীলের কাঠামোর উপর তৈরী করা হয়েছে। এর সাথে সবচাইতে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে কাচ। এই বিমানবন্টরটি তৈরী করতে একযোগে ২১টি কোম্পানি কাজ করেছে। এর সাথে ছিল কিছু থার্ড পার্টি কোম্পানি। বিমান বন্দরটির পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে একসাথে ৪০ হাজার কর্মী একযোগে কাজ করেছে। বর্তমানে চায়নায় ২৩৪টি বিমানবন্দর রয়েছে। যার সবটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উঠানামা করতে পারে।
২০৩৫ সালে বিমানবন্দরের সংখ্যা দাড়াবে ২৫০টিতে। চায়নার প্রতিটি শহরই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারন প্রতিটা শহরেই কোন না কোন ইন্ডাষ্ট্রিয়াল জোন রয়েছে। বেইজিং চায়নার রাজধানী এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। এখানে আগে থেকেই দুইটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। যার একটি হচ্ছে বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট অপরটি হচ্ছে বেইজিং নানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।
কিন্তু এয়ারপোর্ট দুটি ব্যস্ত থাকায় নতুন আর একটি বিমানবন্দর করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বর্তমান বিশে^ সবচেয়ে বেশি চমৎকার দেশ হচ্ছে চীন। বেইজিং শহর থেকে ৪৬ কিমি দক্ষিনে ডাজিং বিমানবন্দরটি নির্মানের পরিকল্পনা করে। বেইজিং থেকে হাই স্পিড ট্রেন, বাস এবং টেক্সিতে এখানে যাওয়া যায়।
বিমান বন্দরটি নির্মানে ব্যায় হয়েছে ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পুরো বিমানবন্দরটি জুড়ে রয়েছে ৮০টি বোডিং গেট, বিমানবন্দরটিতে ৭টি রানওয়ে রয়েছে। বিমানবন্দরটির প্রতিবছর প্রায় ৭৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। বছরে প্রায় ৬ লক্ষ ২০ হাজার ফ্লাইট উঠানামা করতে পারবে।
২০২৫ সালের পর থেকে ১২০ মিলিয়ন যাত্রী চলাচল করতে পারবে। এছাড়া ৮০ শতাংশ যাত্রী নিজেই চেকইন করতে পারবে। বিমানবন্দরের ভিতরেই রয়েছে পাচটি রেল ষ্টেশন, বিমানবন্দরটিতে বাস, টেক্সি থেকে শুরু করে সবধরনের যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে।