রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি পাকিস্তানে এবার অর্থনৈতিক সংকটও পৌঁছেছে চরমে। এই সংকট এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে এ বছর পবিত্র হজব্রত পালন করতে কাউকেই সউদী আরবে পাঠাতে পারছে না দেশটি। হজ পালনে ইচ্ছুক পাকিস্তানিদের জন্য সউদী আরব যে কোটা বরাদ্দ রেখেছে, তা এবার ফিরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। দেশটির ৭৫ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। খবর পাকিস্তান অবজার্ভারের।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তানের জন্য ৮ হাজার হজ কোটা বরাদ্দ রেখেছে সউদী আরব। কিন্তু এ বছর সেই কোটা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, হজ কোটা অনুযায়ী লোক পাঠালে সরকারের ২ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় হবে। এই অতিরিক্ত ব্যয় বাঁচানোর জন্য সরকার এবার কাউকেই পাকিস্তান থেকে হজে পাঠাচ্ছে না।
পাকিস্তান সরকার অবশ্য আগেই বলেছিল হজ আবেদনকারীদের জন্য এ বছর কোনো ব্যালটিং হবে না। কারণ, আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছে এবার পর্যাপ্ত আবেদনকারী পাওয়া যাবে না।
এদিকে, পাক সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশটির চরম মুদ্রাস্ফীতির চিত্রই সামনে এলো। জানা গেছে, পাকিস্তানের সরকার এখন বেসরকারি হজ অপারেটরদের জন্য অব্যবহৃত হজ কোটা বরাদ্দ করার পরিকল্পনা করছে। তবে তা কতটুকু বাস্তবায়িত হবে তা জানা যাচ্ছে না।