যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩৫ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। ফেরত যাওয়াদের সংখ্যা ৩৫ বা এর কম–বেশিও হতে পারে। এরই মধ্যে তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের বিশেষ শাখাকে (এসবি) অবহিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।
২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর ২৯ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভারত, ব্রাজিলসহ অনেক দেশের নাগরিকদের হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানোয় প্রশ্ন তোলেন মানবাধিকার কর্মীরা। শুরুর দিকে বাংলাদেশিদের হাতকড়া ও শিকল পরানো ছাড়া মানবাধিকারের বিষয়টি সমুন্নত রেখে পাঠানো হয়েছিল। তবে ২ আগস্ট একটি সামরিক উড়োজাহাজে ৩৯ জনকে দেশে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে এক নারীও ছিলেন। ডিপোর্ট হয়ে ফেরত যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৬০ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রায় পর তারা দেশে পৌঁছেন। ফ্লাইটে তাদের হাতকড়া ও শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঢাকায় আসার পর অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সূত্রটি বলছে, এর আগে বিভিন্ন সময় ১৫৭ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠায় দেশটি। এবার ৩৫ জনকে ফেরত এলে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ১৯২।
ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যারা ফেরত আসবে তাদের পরিচয় যাচাই–বাছাই করে গ্রহণ করা হবে। এরপর ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন হলে স্বজনদের কাছে দেওয়া হবে। এছাড়া ফেরত আসার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে ফেরত পাঠানোর পর অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। অনেককে কাউন্সিলিং করানো প্রয়োজন হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সরকারি দপ্তর অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়টি তদারক করে থাকে। দপ্তরগুলো হলো অফিস অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট।
গত ৮ জুন একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ডিপোর্ট করা হয়েছিল। ১৬ জনের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ পরিচয়পত্র যাচাই নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রে মামলায় হেরেও সেখানে অবস্থান করছিলেন। আরেকজন আলাদা মামলায় সাজা ভোগ করেছিলেন। সবাইকে অনিয়মিত অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।