প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর তার পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিভাসন নীতির মধ্যেও ‘ইমিগ্র্যান্ট ভিসায়’ আসছেন নতুন নতুন অভিবাসী। পাশাপাশি গ্রীনার্ডধারীরা পাচ্ছেন আমেরিকান হিসেবে নাগরিকত্ব। তবে এই হার যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক কম বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান অভিবাসন নীতি ছাড়াও অন্যান্য নীতি আগের মতোই চলমান রয়েছে। আগে এসব নীতি বাস্তবায়নে কখনো কখনো ধীর গতি পরিলক্ষিত হলেও ট্রাম্প প্রশাসনের সময় তা গতি পেয়েছ। নানা কারনেই এমনটি হচ্ছে। গেলো সপ্তাহে একাধিক বাংলাদেশী পরিবার ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্র আগমন করেছেন। তারা জানান, ঢাকা থেকে নিউইয়কের উদ্দেশ্যে রনো দেয়ার আগে তাদের মধ্যে নানা ভয়ভীতি কাজ করলেও জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তাদের তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হতে হয়নি। তাদেও মতে স্বাভাবিক নিয়মেই তারা ইমিগ্রেশন পারন হয়েছেন।
অপরদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিভাবসন নীতির মধ্যেই স্বাভাবিক গতিতে চলছে আমেরিকান গ্রীনকার্ডধারীদের সিটিজেনশীপ প্রক্রিয়া। তবে এক্ষেত্রে ধীর গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। গেলো সপ্তাহে একাধিক বাংলাদেশী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী যুবলীগ নেতা রহিমুজ্জামান সুমনের স্ত্রী জেসমিন জামান গত ২৫ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশীপ লাভ করেছেন। স্ত্রীর সিটিজেনশীপ লাভের প্রতিক্রিয়ায় রহিমুজ্জামান সুমন তার ফেসবুকে তার ও স্ত্রীর ছবি দিয়ে লিখেছেন ‘সে এখন আমেরিকার নাগরিক’।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ভিসা এবং নাগরিকত্ব সম্পর্কে বিশিষ্ট ইমিগ্রেশন এটর্নী মীর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সব কিছুই ঠিকঠাক চলছে। ট্রাম্প প্রশাসন যেসব আইন প্রয়োগ করছেন তা আগেও ছিলো এখনো আছে। তার মতে আগে আইন কম প্রয়োগ হয়েছে। আর এখন কঠোরভাবে আইনগুলো প্রয়োগ করা হচ্ছে। এটর্নী মীর মিজান বলেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে তার পূর্ব ঘেষিত অভিবাসন নীতি বাস্তবায়সে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেছেন। ফলে সর্বত্রই ভয়-ভীতি আর কিছুটা আতংক বাড়ছে। তিনি বলেন, আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে ভয়কে জয় করতে হবে। আতংকিত না হয়ে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে, চলতে হবে সতর্কতার সাথে।