বাংলাদেশ সরকারের ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করেছেন ভারতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (১২ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে তিনি ট্রাভেল পারমিট হাতে পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে সালাহউদ্দিন আহমেদ নিজেই এ তথ্য জানান।
২০১৫ সালের ১১ মে থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে আছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। আর তার আগের দুই মাস দেশের ভেতরেই ছিলেন নিখোঁজ। সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যখনই কোনও গণমাধ্যমের কথা হয়েছে, প্রতিবারই তিনি জানিয়েছেন, তিনি দেশে ফিরতে আকুল। সেক্ষেত্রে ট্রাভেল পারমিট পাওয়ায় তিনি যেকোনও সময় বাংলাদেশে আসতে পারবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ট্রাভেল পারমিট পাওয়ায় দেশে ফিরতে আর বাধা নেই। তবে ভারত সরকারের কিছু নিয়ম রয়েছে। আদালতের কাগজপত্রসহ নানা আনুষঙ্গিক বিষয় বাকি রয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। দীর্ঘদিন উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ায় তিনি এখন ভারতে চিকিৎসা নেবেন। চিকিৎসার কাজ শেষ হলেই তিনি দেশে ফিরবেন।
উল্লেখ্য, ট্রাভেল পারমিটের মেয়াদ তিন মাস। এই সময়ের মধ্যে দেশে না ফিরলে আবার আবেদন করতে হবে সালাহউদ্দিনকে।
দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কে ৪৯/বি নম্বর বাড়ির ২/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে র্যাব ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই মাস পর পাশের দেশ ভারতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে।
উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে আবার ভারত সরকারপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলংয়ের জজ কোর্টের রায়ে তিনি বেকসুর খালাস পান।