শ্রীমঙ্গলের টি হ্যাভেন রিসোর্ট চালু হওয়ার পর থেকেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। হবিগঞ্জ রোড ধরে শ্রীমঙ্গল শহরে ঢোকার আগেই এই রিসোর্টটির দৃষ্টিনন্দন আয়োজন সবার নজর কেড়ে থাকে। শ্রীমঙ্গলের পরিচিত রেইন ফরেস্ট রিসোর্টের মালিক গড়ে তুলেছেন টি হ্যাভেন রিসোর্ট।
সেবা দিয়ে মানুষের ভালোলাগা অর্জন করেছে এই রিসোর্টটি। সেবার পাশাপাশি এই রিসোর্টটির খরচ অন্য অনেক সমমানের রিসোর্টের চেয়ে কম। ঘুরতে আসা পর্যটকরা খরচের পাশাপাশি ভালো সেবা চান। আর এই টি হ্যাভেন রিসোর্টে দুইয়েরই সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।
এই রিসোর্টটিতে রয়েছে বিশাল কনফারেন্স রুম। যেখানে কনফারেন্সের জন্য সব ইন্ট্রুমেন্ট বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। এই কারণে কর্পোরেট ট্যুরিস্টদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে টি হেভেন রিসোর্ট। আধুনিক কনফারেন্স হলের সকল সুযোগ সুবিধা এখানে রয়েছে। দেড় শতাধিক আসন সংখ্যা এবং সুপ্রশস্ত খোলামেলা এই কক্ষ। আরো আছে ফ্রি ওয়াইফাই ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি।
রিসোর্টের কক্ষগুলোর নাম গুলো বেশ আকর্ষণীয়। তিনটি এক্সিকিউটিভ রুম হামহাম, ছায়াবৃক্ষ ও ক্যামেলিয়া। এর বাইরেও ফ্যামেলি ডিলাক্স, টুইন শেয়ার, কাপল ডিলাক্স রুম রয়েছে। প্রত্যেকটি রুমের সঙ্গে বারান্দা রয়েছে।
রিসোর্টটির চতুর্থ তলায় রয়েছে বিশাল এক রেস্টুরেন্ট এবং ডাইনিং স্পেস। পর্যটকদের পছন্দমতো খাবার সরবরাহ করে থাকে টি হ্যাভেন রিসোর্ট। তবে এখানকার খাবার অনেকটাই দেশি ধাচের ও স্বাদের।
এখান থেকে শ্রীমঙ্গলের অপরূপ দৃশ্যগুলো চোখে পড়ে খুব সুন্দরভাবে। একদিকে হাইল হাওর দিগন্ত বিস্তৃত পানি। অন্যদিকে চা-বাগান আর দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ। শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য পর্যটকরা যেন ঘুরে দেখতে পারে সেজন্য টি হ্যাভেন রিসোর্টের রয়েছে গাড়ির সার্ভিস। শীত মৌসুমে বাইক্কা বিল সহ সকল দর্শনীয় স্থানে পর্যটকরা এই গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে সরাসরি যেকোনো পরিবহণে মৌলভীবাজার যেতে হবে। সেখান থেকে শ্রীমঙ্গলগামী কোনো বাসে উঠতে হবে। হবিগঞ্জ রোড ধরে যেতে শ্রীমঙ্গল শহরে ঢোকার আগেই এই রিসোর্টটি দেখতে পাবেন।