শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় জাস্টিন ট্রুডো

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

কানাডার ৪৪তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টি। এর ফলে টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন জাস্টিন ট্রুডো। অবশ্য লিবারেল পার্টি নির্বাচনে জয়লাভ করলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা এএফপি।

এদিকে কানাডার নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি ১৫৬টি আসনে হয় এগিয়ে রয়েছে না হয় জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে ট্রুডোর প্রধান প্রতিপক্ষ এরিন ওটুলের কনজারভেটিভ পার্টি ১২২টি আসনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

কানাডার পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে মোট আসন সংখ্যা ৩৩৮টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে নির্বাচনে কোনো দল বা জোটকে ১৭০টি আসনে জয়লাভ করতে হয়। তবে ট্রুডোর দল এবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার চালাতে আগের মতোই অন্যদের সমর্থনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

নির্বাচনে জয়লাভের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জাস্টিন ট্রুডো কানাডার নাগরিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। টুইটে তিনি বলেন, ‘লিবারেল পার্টির ওপর বিশ্বাস রাখায় এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বেছে নিতে ভোট দেওয়ায় কানাডার নাগরিকদের ধন্যবাদ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা করোনা মহামারির বিরুদ্ধে চলমান লড়াই শেষ করতে যাচ্ছি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কানাডাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

এদিকে মঙ্গলবার ট্রুডো স্বীকার করেছেন যে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তাকে অন্য দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ গতবারের মতো এবারও সরকার চালাতে বা দেশ শাসন করতে তাকে বিরোধী আইনপ্রণেতাদের ওপর নির্ভর করতে হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, মধ্যবর্তী এই নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন ট্রুডো। নির্বাচনের আগের বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, কোনো দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কম। নির্বাচনের পর বিশ্লেষকদের অনুমান এবং জরিপের ফলাফল কিছুটা সত্যি হলো।

২০১৫ সালে কানাডার সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী পিয়ের ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো বিপুল ভোটে জিতেছিলেন। চার বছর পর ২০১৯ সালে তিনি আবার জিতেছিলেন ঠিকই, কিন্তু আসন সংখ্যা সেসময় অনেক কমে যায়। ২০০১ সালে ইউনিভার্সিটিতে একটি পার্টির কিছু ছবি সেসময় সামনে আসার ফলে আধুনিক, বৈষম্যবিরোধী নেতা হিসেবে তার ভাবমূর্তি ধাক্কা খায়।

২০১৯ সালের নির্বাচনের পর পরবর্তী নির্বাচনটি ২০২৩ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দেন ট্রুডো।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com