বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের কভারে আসা অনেকের কাছেই একটি স্বপ্ন। এটি শুধু সেলিব্রেটি স্ট্যাটাস এনে দেয় না, বরং বিশ্বব্যাপী মনোযোগ কাড়ারও সুযোগ তৈরি করে। তবে এই কভার ঘিরে রয়েছে রহস্যময় এক তত্ত্ব। আর সেই তত্ত্ব মতে, টাইম ম্যাগাজিনের কভারে এলেই শুরু হয় অধঃপতন!
টাইম ম্যাগাজিনের কভারে বহু বিশ্বনেতা এবং বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের জায়গা হলেও, তাদের অনেকেই পরবর্তীতে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, স্টিভ জবস ১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে কভারে জায়গা পেলেও, ১৯৮৫ সালে তাকে অ্যাপল থেকে বের করে দেয়া হয়। একইভাবে, ২০১০ সালে কভার স্টোরিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর, ফেসবুক নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।
এ তালিকায় রয়েছেন আরো অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি, যেমন ইলন মাস্ক, বেনজির ভুট্টো, মাহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী এবং সাদ্দাম হোসেন। তাদের জীবন ও ক্যারিয়ারেও কভারে আসার পর থেকেই নানা বিপর্যয় দেখা দেয়।
২০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিনের কভারে আসেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে আর তিনি ক্ষমতায় ফিরতে পারেননি। ২০২৩ সালে শেখ হাসিনা ‘হার্ড পাওয়ার’ শিরোনামে টাইমের কভারে আসেন।
কিন্তু এর ঠিক এক বছরের মাথায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলছেন—তবে কি টাইম ম্যাগাজিনের কভারে আসার কারণেই কপাল পুড়ল শেখ হাসিনার?
টাইম ম্যাগাজিনের কভারকে ঘিরে এমন অভিশাপ তত্ত্ব সত্যি কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, বাস্তবতার আলোকে কিছু ঘটনার মিল অনেকের মনে এ ধরনের প্রশ্ন তৈরি করেছে।