বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন

টরন্টো সিটি হলে বাংলাদেশের পতাকা

  • আপডেট সময় সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে  টরন্টো সিটি মেয়র সিটি হলে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন বলে আমরা অনেকে গর্বের সাথে সেই পতাকা উত্তোলনের ছবি দিচ্ছি। খুবই আনন্দের সংবাদ সন্দেহ নেই।কিন্তু লাল সবুজের ওই পতাকা মানে কি শুধুই এক টুকরো লাল সবুজ রঙের সেলাই করা কাপড়?

প্রকৃত পক্ষে ঐ পতাকা হলো পৃথিবীর বুকে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর হাজারো মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে রক্তলাল একটি নুতন সূর্যের উদয়, একটি মানচিত্রের আবির্ভাব, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এক খন্ড সবুজ জমিন।

সেই মানচিত্র, সেই জমিন যারা খুবলে খুবলে খায়, লুট করে ব্যাংকের টাকা বিদেশে পাঁচারের মাধ্যমে নুতন করে রক্তাক্ত করে তাদের ব্যাপারে আমরা অনেকেই নির্লিপ্ত, নির্বিকার। জাতীয় পত্রিকায় দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের সচিত্র প্রতিবেদন দেখার পরও, আদালতে সুনির্দিষ্ট মামলা থাকার পরও আমরা প্রমাণ খুঁজি। সন্দিহান হই!

যে প্রবাসে আপনি যুগের যুগের পর যুগ কাটিয়ে দিয়েও স্বচ্ছন্দ জীবনের মুখ দেখতে পান না, এক বারের জায়গায় দুইবার শপিং মলে যেতে ভয় পান, মাসের টাকা মাস ফুরানোর আগেই ফুরিয়ে যায় সেই একই ভুখন্ডে আপনার চোখের সামনেই কানাডা অস্ট্রেলিয়ার মাইগ্রেশন নীতির সুযোগ নিয়ে লুটেরারা আসে, দিন ফুরাবার আগেই বাড়ীর মালিক হয়ে যায়, মাস ফুরাবার আগেই একাধিক ব্যবসা বাণিজ্যের মালিক হয়ে যায়, বছর শেষ হবার আগেই অসহায় দশজন খেটে খাওয়া বাঙালী তাদের কর্মচারী হয়ে যায়!

আপনি তবুও বলবেন, না না, প্রমাণ নাই! দেশের আরো দশটা অনিয়ম দুর্নীতি সামনে এনে বলবেন এটা দেখেন ওটা দেখেন না কেন? এটা নিয়ে বলেন ওটা নিয়ে বলেন না কেন?

এইসব বলার দায়িত্ব কি আপনার নয়? অন্য একজন বলবে, অন্য দুজন প্রতিবাদ করবে আর তার ফল আপনি খাবেন, না হলে বিদেশে চলে এসেছেন বলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচে গেছেন বলে দেশকে গালি দিবেন আর কালে ভদ্রে লাল সবুজের পতাকা উত্তোলনে পোষ্ট দিয়ে আত্মতৃপ্ত হবেন, বিষয়গুলো কি একটু বেশী ভন্ডামি হয়ে যায় না?

আমি জানি আপনার মনের গহীনে এখনো লুকায়িত আছে ওই লাল সবুজের প্রতি কঠিন প্রেম আর অফুরন্ত ভালবাসা।

আমি এও জানি আপনার মা, বাবা, স্বজনের কেউ না কেউ এখনো ওই দেশের ধুলা মাটিতে সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন! আপনি তাই আমার মতই, হয়তো আমার চেয়েও বেশী ভালবাসেন বদ্বীপের ঐ দেশটিকে।

আপনার রাজনৈতিক মত পথ আলাদা হলেও একটি কমন জায়গা হলো আপনি আমি দুজনেই ভালবাসি বাংলাদেশকে। আসুন সব ভেদ পাশে রেখে পতাকা খামচে ধরা ওই লুটেরা হায়েনাদের রুখে দেই। বাংলাদেশে না পারি, এই কানাডাতে আসুন রুখে দেই, না হলে অন্তত: রুখে দাঁড়াই!

সবশেষে কবির ভাষায় প্রার্থনা করি, ‘তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শক্তি’!

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com