টরন্টোতে বাড়ির সন্ধানে থাকা ব্যক্তিদের এই বাজারে প্রবেশ করতে বছরে ২ লাখ ডলারের বেশি আয় করতে হবে। নতুন এক আবাসন উপাত্তে এমনটাই বলা হয়েছে।
অনলাইন মর্টগেজ ব্রোকারেস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রেটহাবডটসিএ কানাডিয়ান রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের (সিআরইএ) উপাত্ত খতিয়ে দেখেছে এবং তার সঙ্গে আয় তুলনা করে দেখিয়েছে, যা দশটি প্রধান শহরে বাড়ি কেনার জন্য প্রয়োজন। এসব শহরের মধ্যে আছে টরন্টো ও হ্যামিল্টন। আর সময় ধরা হয়েছে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি।
রেটহাবডটসিএর সহ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ক্যানওয়াইজ মর্টগেজ প্রদানকারীর প্রেসিডেন্ট জেমস লেয়ার্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, বাড়ির দাম কমেছে। তবে ক্রয়ক্ষমতা ১২ মাস আগে যেমন ছিল তার চেয়ে খারাপ হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টরন্টোর আবাসন বাজার দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল। কিন্তু ক্রয়ক্ষমতা কমার দিক থেকে নগরীটি রয়েছে সপ্তম স্থানে।
জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত টরন্টোতে বাড়ির গড় মূল্য ১ লাখ ৭৮ হাজার ডলার কমলেও একটি বাড়ি কিনতে অর্থাৎ টরন্টোর আবাসন বাজারে প্রবেশ করতে হলে বছরে আয় করতে হবে বছরে ২ লাখ ৭ হাজার ডলারের ওপরে। অর্থাৎ, প্রয়োজনীয় বার্ষিক আয়ের চেয়ে ৭ হাজার ৬২০ ডলার বেশি।
ব্যাংক অব কানাডা ২০২২ সালের মার্চ থৈকে সুদের হার অব্যাহতভাবে বাড়িয়েছে। এর ফলে মর্টগেজ ও স্ট্রেস রেট বৃদ্ধি পেয়ে সম্ভাব্য ক্রেতাদের ওপর চাপ তৈরি করেছে। লেয়ার্ড বলেন, বর্তমান নির্ধারিত রেটে স্ট্রেস রেট দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা এক বছর আগের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। এই হার বৃদ্ধি বাড়ির মূল্যপতনের চেয়ে বেশি, যার অর্থ হলো প্রতি দশটির মধ্যে ৯টি শহরের বাড়িই এক বছর আগের তুলনায় কম সাশ্রয়ী।
হ্যামিল্টনেই কেবল গত বছরের চেয়ে চলতি বছর বাড়ি কিছুটা সাশ্রয়ী হয়েছে। এক বছরে হ্যামিল্টনে বাড়ির গড় দাম কমেছে ২ লাখ ডলারের বেশি। অর্থাৎ, ১০ লাখ ১২ হাজার ৭০০ ডলা থেকে কমে ২০২৩ সালে ৮ লাখ ৯ হাজার ৮০০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ হিসেবে, শহরটিতে বাড়ি কিনতে ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট ধরে ন্যুনতম আয় কম লাগবে ৪ হাজার ৩৫০ ডলার। ২০২৩ সালে সম্ভাব্য একজন ক্রেতার বার্ষিখ আয় হতে হবে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ ডলার।