জ্যামাইকার হিলসাইডে ক্রমেই বাড়ছে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট। দিন যত যাচ্ছে রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট ছাড়াও পুরোনো রেস্টুরেন্টও ব্যবসা পরিবর্তন করছে। ‘ধানসিঁড়ি’ আগে চাইনিজ
ও দেশি দুই ধরনের খাবারেরই রেস্টুরেন্ট ছিল। কিন্তু হিলসাইডে চাইনিজ আইটেমগুলো তুলনামূলক কম চলে। সেখানে কাস্টমারদের কাছে দেশি খাবারের চাহিদা বেশি। তাই হিলসাইডে এখন কেবল দেশি মেন্যু চালু করেছে ধানসিঁড়ি। জ্যামাইকায় দেশি খাবারের জনপ্রিয়তাও বেশি। যে রেস্টুরেন্ট যত বেশি ভালো ও মানসম্মত খাবার পরিবেশন করছে, সেই রেস্টুরেন্টে তত ভিড় লেগে থাকছে। বেলা ১১টা থেকে রাত অবধি সেখানে খাবার বিক্রি হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী ভালো ব্যবসা করতে পেরে খুব খুশি।
গত ১২ জুলাই শুক্রবার বাদ জুমা জ্যামাইকা হিলসাইডের ১৬৭ স্ট্রিটে ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্ট নতুন করে যাত্রা শুরু করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ধানসিঁড়ির অনেক কাস্টমার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের প্রধান ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ, মসজিদ মিশন সেন্টারের প্রধান ইমাম রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ইমাম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ধানসিঁড়ির নতুন যাত্রার শুভ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। ধানসিঁড়ির শুভানুধ্যায়ীরা এর সাফল্য কামনা করে এখানে হালাল খাবার পরিবেশনের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। পরে তবারক বিতরণ করা হয়।
ধানসিঁড়ির কর্ণধার টিপু বলেন, নতুন রূপে সম্পূর্ণ বাংলাদেশি খাবারের মেন্যু নিয়ে ১২ জুলাই থেকে যাত্রা শুরু করেছে ধানসিঁড়ি। বাংলাদেশি মেন্যু আমরা চালু করেছি। আগে চাইনিজ আইটেম থাকলেও এখন তা নেই। এখানে পোলাও, চিকেন বিরিয়ানি, গোট বিরিয়ানি, ল্যাম্প বিরিয়ানি, বিফ বিরিয়ানি, খিচুড়ি, মোরগ পোলাও, রেজালা, গরুর মাংস ভুনা, মুরগির মাংস ভুনা, রোস্ট, কাবাব, ভেজিটেবল রোল, শিঙাড়া, সমুচা, বিভিন্ন ধরনের চিকেন কারি, চা, পায়েস, দুই, মিষ্টি, জুসসহ বিভিন্ন খাবারের আইটেম আছে। সাদা ভাতের সঙ্গে রয়েছে রকমারি সব মাছের আইটেম। তিনি বলেন, আমরা খুবই কম দামে সব খাবার বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, ধানসিঁড়িতে বিভিন্ন ধরনের পার্টি করার ব্যবস্থাও রয়েছে। পার্টির জন্য বুকিং দেওয়া যাবে। ক্যাটারিং সার্ভিসও নেওয়া যাবে। ক্যাটারিং কেউ নিতে চাইলে আগেভাগে অর্ডার দিলে ঠিক সময়ে দেওয়া হবে। জ্যামাইকা, সাটফিন, পারসন্স, সাউথ জ্যামাইকা, হলিস, ফ্লোরাল পার্ক, বেলরোজ, ফ্ল্যাশিংসহ সব এলাকার মানুষকে পরিবার, আত্মীয়স্বজনসহ ধানসিঁড়িতে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
Like this:
Like Loading...