বহুল আশা জাগানীয়া প্রজন্ম জেনারেশন জেড বা জেন-জিভুক্ত তরুণ-তরুণীদের চাকরি থেকে বের করে দিচ্ছেন নিয়োগকর্তারা। সাধারণত ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারীদের জেন-জি বলা হয়ে থাকে। চলতি বছরে জেনারেশন জেডভুক্তদের বয়স আনুমানিক ১২ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে।
বহুল চর্চিত জেনারেশন বলা হলেও আদতে তাদের নেই নতুন চ্যালেঞ্জ নেয়ার ক্ষমতা। আগ্রহ ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করলেও রয়েছে উদ্যোমে ঘাটতি। এমন সব অভিযোগ তুলে, বহুল চর্চিত জেন-জিদের চাকরি থেকে বের করে দিচ্ছেন নিয়োগকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ছয়জনের ক্ষেত্রেই ঘটছে এই ঘটনা।
আশা জাগানীয়া প্রজন্ম বলা হলেও মূলত সামাজিক মাধ্যমে হম্বিতম্ব আর নিজেদের মধ্যেকার বিবাদ ছাড়া এখন পর্যন্ত কোন কিছুই করতে পারেনি জেনজি জেনারেশন, যারা ৯৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মেছে। যথাযথ এবং মানসম্মত শিক্ষার অভাব, কাজে অনাগ্রহ ও অদক্ষতায় নিজেদের এমন বিতর্কত পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে নিয়োগকর্তারা এখন তাদের নিয়ে বেকায়দায় পড়ে গেছে যে ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি পরিস্থিতি। তাইতো, যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজার থেকে একপ্রকার গণহারে বিদায় করা হচ্ছে জেন-জিদের।
ইন্টেলিজেন্ট ডট কমের জরিপ বলছে, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ শতাংশ নিয়োগকারী জেন-জিদের চাকরিচ্যুত করেছে। ৯৬৬ টি প্রতিষ্ঠানে চালানো জরিপে অর্ধেক নিয়োগকারীরা জেন জিদের কাজের আগ্রহের অভাব পেয়েছে। ৩৯ শতাংশ পেয়েছে যোগাযোগ দক্ষতার অভাব। ৪৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মূল সমস্যা পেশাদারিত্বে। ৩৪ শতাংশ নিয়োগকারী খুঁজে পান সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা অপর্যাপ্ত। কাজে দেরীতে আসা, অফিসের নিয়ম ভাঙা, অফিসের কর্মকান্ডে অংশ না নেয়াসহ অমার্জিত ভাষা ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে।
জরিপে দেখা যায়, ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান মনে করে, কাজের জন্য এ প্রজন্মের সদস্যরা এখনও প্রস্তুত নন। সাত নিয়োগকর্তার মধ্যে একজন আগামী বছর ২০২৫ সালে জেন জি দের নিয়োগ দেবেন না। আর সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পদক্ষেপ কবে কাজে আসবে তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।