অনন্যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ময়মনসিংহ শহরে। বাবা জুয়েল রায় একটি ছোট্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন, বর্তমানে তিনি অবসরে। মা মুক্তা রায় গৃহিণী। ছোট বোন বর্তমানে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
২০১৭ সালে প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও ২০১৯ সালে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন অনন্যা। বর্তমানে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন।
তখনই ছোট বোনের একটি অনুরোধ তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ‘দিদি, ফ্রিল্যান্সিং করে মানুষ অনেক ভালো করছে, তুমি তো পারবে,’—এই কথাটি ছিল অনন্যার জীবনের এক নতুন সূচনার সুর। জানতেন না ফ্রিল্যান্সিং কী, কিন্তু শুরু করলেন শিখতে। পাশে ছিলেন তার মা-বাবা ও ছোট বোন।
অনন্যা বলেন, ‘আমার মা সব সময় চাইতেন মেয়েরা মানুষের মতো মানুষ হোক। মা-ই আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে লড়াই করে বাঁচতে হয়।’
শুরুর দিকে ছিল অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা। ল্যাপটপ কেনার সামর্থ্য ছিল না। তখন তার দিদিমা এগিয়ে এসে হয়ে উঠেন স্বপ্নপূরণের সহযাত্রী। কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে উঠেন অনন্যা।
তার প্রথম আয় ছিল মাত্র ২৫ ডলার। সেই টাকাতেই মা, দিদিমা ও বোনকে শাড়ি উপহার দিয়েছিলেন ভালোবাসার প্রথম ছোঁয়া। ‘সেই অনুভূতি আজও আমার কাছে সবচেয়ে স্পেশাল’ বলেন অনন্যা।