সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের অফিসে ব্যাংক খাত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন। এসময় সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, সুদের হার বাজারভিত্তিক হওয়া কতটুকু প্রয়োজন তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। ৬ ও ৯ শতাংশ হারে যে সুদহার বেধে দেওয়া হয়েছিল তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। এখন আসছে মুদ্রানীতিতে যদি সুদহারে ক্যাপ তুলে দেওয়া হয় তারপরও তা বাজারভিত্তিক হবে না বলে মনে করে এবিবি। তবে এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত বছর থেকে এখন স্বস্তিতে ফিরছে দেশের ব্যাংক খাত। দুই-একটা ব্যাংক ছাড়া কোন ব্যাংকে ডেফার পেমেন্ট বাকি নেই। তবে ২০১৮ বা ২০১৯ সালের মতো অবস্থায় আসতে এখনও বেশ সময় লাগবে।
সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, ২০২২ সালে বহির্বিশ্বের কারণে দেশে যে অর্থনৈতিক মন্দা, সামষ্টিক অর্থনীতির চাপ , রিজার্ভের যে সংকট গেছে তা গেল ৩৫ বছর দেখেনি দেশের ব্যাংক খাত। গেল বছরের জুন-জুলাইয়ে ভয়াবহ মন্দাতে গেছে দেশ। এ বছরেই টাকার মান কমেছে ২৫ শতাংশ যা অকল্পনীয়। ডলার সংকট কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি শুরু করায় মূলত তারল্য সংকট দেখা দেয়।