দুবাইয়ের ছোট এক বালুচর। ছোট মানে আমার বাড়ির সামনের নদীর চরের মতো ছোট। নাম জুমেইরা বালুচর। সেই বালুচর দেখতে যায় বছরে এক কোটি মানুষ। কেন যায়, কিছুই বুঝতে পারলাম না। আরব আমিরাত হল বালুর দেশ। বালুর দেশে বালুচর দেখতে যাওয়ার কোনো মানে আছে?
তবে আরবদের পয়সা আছে। খবরিয়ারা গুনে দেখেছে, সৌদি রাজপরিবার ব্রিটিশ রাজপরিবারকে ষোল বার কিনতে পারবে। গতবার ফুটবল বিশ্বকাপে কাতার খরচ করেছে রাশিয়ার চেয়ে ছয় গুণ বেশি। আর এই আরব আমিরাত তো নানা দিকেই দুনিয়ার এক নম্বর—যেমন তারা প্রায় এক কিলোমিটার উঁচু ঘর (১৬৩ তলা) বানিয়েছে, আর সেই ঘরের সামনে ৭২ বর্গমাইল জুড়ে করেছে বিরাট ফুলবাগান (বাগানের কথা কাল বলব)।
তো, জুমেইরা বালুচরে লোকজন গিয়ে কী করে? গায়ের সব কাপড়চোপড় খুলে বালুতে কম্বল বিছিয়ে রোদে শুয়ে থাকে। এটা নাকি রৌদ্রস্নান। অতি উত্তম। সবসময় পানি দিয়ে গোসল করবি কেন? মাঝেমাঝে রৌদ্র দিয়ে গোসল কর। তারপর তোরা যখন আরো আধুনিক হবি তখন আগুন দিয়ে গোসল করিস।
দুবাইয়ের শেখেরা বড় বড় প্রাসাদ বানিয়ে এই জুমেইরা বালুচর ভরে ফেলেছে। অদ্ভুত আকারের এক হোটেল, ধনুকের ছিলার মতো। আরেকটা নৌকার পালের মতো, তা-ও আবার তার ভেতরটা ২৪ ক্যারেট সোনায় মোড়ানো। আর সাগরের মাঝখানে মাটি ফেলে বানিয়েছে শোয়ানো এক পামগাছ, সেই গাছের ডালে ডালে শত শত দালানকোঠা। বাবুই পাখি গাছের ডালে ঘর বানাতে পারলে আমরা পারব না কেন—এই হল চিন্তা। ঠিক আছে বাবা, বানা। তোদের তেলের পয়সা যখন আছে, তোরা যা খুশি তা-ই কর। আমার কোনো আপত্তি নাই।
Like this:
Like Loading...