জার্মানিতে চাকরি আছে এমন অভিবাসী পরিচয়ের মানুষের সংখ্যা গত দশ বছরে বেড়েছে৷ তবে আরও কর্মীর চাকরির সুযোগ এখনও রয়ে গেছে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
জার্মানির ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশ রিসার্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে মাইগ্রেশন ব্যাকগ্রাউন্ড মানুষদের ৬৫ শতাংশ কর্মসংস্থানে নিযুক্ত ছিলেন, যা ২০২২ সালে ৬৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷
গবেষণা দলের প্রধান নিকোলা স্যান্ডার বলেন, ‘‘জনমিতির (ডেমোগ্রাফিক) পরিবর্তন এবং সমাজে বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ার কারণে এরইমধ্যে শ্রমবাজার বড় ধরনের বাধার মুখে পড়ছে৷ এই বাধাগুলো মোকাবিলায় অভিবাসী পরিচয়ের (মাইগ্রেশন ব্যাকবগ্রাইন্ড) বিভিন্ন সম্ভাবনার মানুষকে সর্বোত্তম কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ৷’
জার্মানির ফেডারেল পরিসংখ্যান অফিসের সংজ্ঞা অনুসারে, জার্মানিতে বসবাসরত বিদেশিরা ছাড়াও যারা জার্মানির নাগরিকত্ব নিয়ে জন্ম নেননি অথবা জন্মের সময় বাবা বা মায়ের অন্তত একজনের যদি জার্মান নাগরিকত্ব না থাকে তারা ‘মাইগ্রেশন ব্যাকগ্রাউন্ড’-এর বলে বিবেচিত হন৷
সংস্থাটির হিসাবে জার্মানিতে অভিবাসী পরিচয়ের মানুষের সংখ্যা এখন দুই কোটি ৪০ লাখ, যা জনসংখ্যার ২৯ শতাংশ৷
দেশটির সাড়ে আট কোটি মানুষের প্রতি চারজনের মাত্র একজন তুলনামূলক তরুণ৷ যে কারণে দেশটির শ্রমবাজারে আরো অভিবাসী মানুষের যুক্ত হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে৷
নারী-পুরুষের হিসাবে অভিবাসী পরিচয়ে ৮৮ শতাংশ পুরুষ ও ৫২ শতাংশ নারী পুর্ণকালীন চাকরিতে যুক্ত ছিলেন৷ অভিবাসী পরিচয় ছাড়াদের ক্ষেত্রে এই হার ৯০ শতাংশ ও ৫২ শতাংশ৷