রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতির ঘোর অমানিশা থেকে বের হতে পারছে না জার্মানি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এতে হিমশিম অবস্থা স্থানীয়সহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
দেশটির বিভিন্ন মার্কেট ও কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের দামের সঙ্গে নতুন করে বেড়েছে শাকসবজির দাম।
স্থানীয়রা জানান, গত মাসে বাংলাদেশি মুদ্রা ৮০ টাকায় প্রতিকেজি আলু বিক্রি হলেও সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারেও। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানের কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ টাকার বেশি।
বেড়েছে মুরগির ডিম, দুধ ও প্রধান খাদ্য নুডলসসহ বিভিন্ন খাবারের দামও। এ ছাড়া জার্মানিজুড়ে মাঝারি ও ক্ষুদ্রশিল্প কারখানার কাঁচামালের দাম ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়সহ প্রবাসী উদ্যোক্তারা।
তারা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তবে সে তুলনায় বাড়েনি আয়।
এদিকে জ্বালানিসহ দেশটির নানা খাতে ভর্তুকি দেয়া হলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জার্মান সরকার সঠিক পথে রয়েছে বলে মনে করে দেশটির পরিসংখ্যান অধিদফতর।
সংস্থাটি জানায়, সরবরাহ ও উৎপাদন কম থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ৯ শতাংশ বেড়ে গেলেও তা সহনীয় পর্যায়ে আনতে চেষ্টার কোনো কমতি নেই।
এ ছাড়া জ্বালানি খাতে আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ দাম কমেছে বলে দাবি জার্মান সরকারের।
তবে স্থানীয়দের মতে, ইউক্রেনে নতুন করে ভারী সমরাস্ত্র জোগান দেয়ায় শলজ প্রশাসনের সিদ্ধান্তে মুদ্রাস্ফীতির চলমান সংকট আরও তীব্র হবে।
Like this:
Like Loading...