জার্মানিতে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর দেশটির ডুসেলডর্ফে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে রাত নয়টায় শেষ হয়। এতে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রায় দুইশ লোকের সমাগম হয়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর চৌধুরী। একই সঙ্গে তাকে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন বিদেশিদের মাঝে। একইসঙ্গে জার্মানিতে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মকে দিবসটি সম্পর্কে জানান দেওয়া হয়, যেন তারা এর গুরুত্ব ভবিষ্যতে ভুলে না যায়।
প্রথমবারের মতো ডুসেলডর্ফে এরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে বেড়ে উঠা শিশুরা যেন বাংলা ভাষার শিকড় কখনও ভুলে না যায়। তাই স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগ নেন। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন জেরিন ফাতেমা, তাসমিয়া, রবি, বাসি, তৌফিক, মাহজাবিন, আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মাহজাবিন চৌধুরী। বিশেষ ফ্যাশন শো-র মাধ্যমে বিদেশিদের মাঝে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। মাহজাবিন তানভির, জুয়েলারি দিয়ে সহযোগিতা করেন জেরিন ফাতেমা ও নাজনীন ব্রান্ড। অনুষ্ঠানে দেশীয় হরেক রকম পিঠা প্রদর্শন করা হয় স্থানীয় ও বিদেশিদের মাঝে।
পরে সাংস্কৃতিক ও নৃত্যপরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। লাইভ কনসার্ট গান পরিবেশন করেন নিরুদ্দেশের জাফর, নিপুন ও আকিব। আয়োজকের মধ্যে একজন জেরিন ফাতেমা। তিনি বলেন, আমরা যারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি রয়েছি। দেশীয় সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশকে উপস্থাপন করা উচিত। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবসের যে, তাৎপর্য তা বিদেশিদের মাঝে তুলে ধরা একান্তই একটা দায়িত্ব বলে মনে করি।
তিনি বলেন, সবাই জানুক কত ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। একই সঙ্গে উঠতি বয়সের শিশুদের মাঝে সঠিকভাবে এর গুরুত্ব তুলে ধরতে পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে তারা ভুলে যাবে না।