মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় এক চতুর্থাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে চার হাজার ৪০৪৷ সন্দেহভাজনদের বেশিরভাগই সিরিয়া, জার্মানি, তুরস্ক এবং ইউক্রেনের নাগরিক৷
তদন্তকারীরা বলছেন, এসব ঘটনায় মানুষকে কন্টেইনারে করে পরিবহণ করা হয়েছিল, যা মানুষের জীবন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ৷ আর এই প্রবণতাকে খুবই উদ্বেগের বলে মনে করেন তারা৷
এক বিবৃতিতে বিকেএ জানিয়েছে, ‘‘এসব ঘটনায় ভাড়া নেয়া সহজ এবং যেগুলোর জন্য বিশেষ ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না, সেসব ভ্যানগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে৷’’
পুলিশ বলছে, এ ধরনের যাত্রায় দুর্ঘটনা ঘটলে অক্সিজেন বা পানির অভাবের পাশাপাশি হাইপোথার্মিয়া বা আঘাতের ঝুঁকি রয়েছে৷
সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, ২০২৩ সালে জার্মানিতে সামগ্রিকভাবে অনিয়মিত অভিবাসনও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে৷ ২০২৩ সালে অন্তত দুই লাখ ৬৬ হাজার ২৪৪ জন অনিয়মিত অভিবাসী জার্মানিতে এসেছেন, যা তার আগের বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি৷
তবে বেশিরভাগ সন্দেহভাজনকে জার্মান ফেডারেল পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে৷
২০২৩ সালে ভিসামুক্ত চলাচলের ২৯টি দেশের শেঙ্গেন অঞ্চলের বহিঃসীমান্ত দিয়ে তিন লাখ ৮০ হাজার ২০০টি অনিয়মিত সীমান্ত পাড়ি দেয়ার প্রচেষ্টা রেকর্ড করেছে ইউরোপীয় সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা৷ ২০১৬ সালে পর এই সংখ্যাটি সর্বোচ্চ৷
জার্মানিতে অনিয়মিত অভিবাসীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ২০৭ জন এসেছেন সিরিয়া থেকে৷ তুরস্ক থেকে এসেছেন ৩৫ হাজার ৭৩২ জন এবং আফগানিস্তান থেকে এসেছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ জন৷
২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে জার্মান সীমান্তে পুলিশের দেয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় অন্তত ৭ শতাংশ৷
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসারের নির্দেশে গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র এবং সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে থাকা সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে দেশটি৷ যা এখনো অব্যাহত রয়েছে৷
বিকেএ বলছে, ২০২৩ সালে অভিবাসী পাচারের রুটেও পরিবর্তন আসে৷ কারণ আগের বছরের তুলনায়, ২০২৩ সালে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর হয়ে ইটালি এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগর হয়ে গ্রিস হয়ে শেঙ্গেনর বাহ্যিক সীমানা পেরিয়ে পাচার বেড়েছে৷