ঐতিহ্য, প্রযুক্তি ও সুস্বাদু খাবারের জন্য সারা বিশ্বের পর্যটকেরা জাপান ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। জাপানের টোকিও এবং কিয়োটোতে বিভিন্নরকমের মন্দির, ইমপেরিয়াল প্যালেস, জাদুঘর, অ্যাকুরিয়াম, কৃত্রিম দ্বীপ, সমুদ্র সৈকত, আগ্নেয়গিরিসহ অনেক কিছু দেখতে পারবেন।
জাপানের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে টোকিওর স্কাই ট্রি, সেঞ্জো জি, ইমপেরিয়াল প্যালেস, ওডাইবা ও ইযু আইল্যান্ড বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া ভ্রমণপ্রিয় মানুষেরা কিয়োটো শহরের নিজো ক্যাসল, সেন্টো প্যালেস, কিয়োটে ইমপেরিয়াল প্যালেস, আরাশিয়ামা ও কিয়োটো অ্যাকুরিয়াম দেখতে স্বাচ্ছন্দ্য পায়। চলুন এসব দর্শনীয় স্থানের মূল আকর্ষণ কি জেনে নিইঃ
৬৪৫ মিটার উঁচু এই সম্প্রচার টাওয়ারটি দেখতে প্রতিবছর লাখো মানুষ ভিড় করে। এখানকার জানালা দিয়ে শহরের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। টাওয়ারের মধ্যেই একটা অ্যাকুরিয়াম আর প্লানেট থিয়েটার আছে।
আসাকুসাতে অবস্থিত বৌদ্ধ মন্দিরটি লাল রঙের লন্ঠনের আলোয় সাজানো থাকে। এটা সপ্তদশ শতাব্দীতে তৈরি করা হয়। এখানে দারুণ সব ছবি তুলতে পারবেন এবং পাশেই নাগামিসে স্ট্রিট নামে ২৫০ মিটার প্রশস্ত একটা স্ট্রিট মার্কেট পাবেন।
লেক ও বাগানে মোড়ানো টোকিও ইমপেরিয়াল প্যালেস একসময় সম্রাটের প্রধান বাসস্থল ছিল। এখানে ঘোরার জায়গা, জাদুঘর, সংরক্ষণাগার ও বিভিন্নরকম ব্রিজ রয়েছে। পাসপোর্ট সাথে রাখলে অনুমতি নিয়ে সম্পূর্ণ প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখতে পারবেন।
টোকিও বে-এর কৃত্রিম সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত এই বিনোদন কেন্দ্রটি সবার কাছে জনপ্রিয়। সৈকতের পাশের পার্ক থেকে মাউন্ট ফুজি পর্বতসহ শহরের ল্যান্ডস্কেপ উপভোগ করতে পারবেন। এখানকার মিরাইকান মিউজিয়ামে রোবটের প্রদর্শনী দেখা যায়।
আগ্নেয়গিরি দেখতে হলে ইযু আইল্যান্ড আপনার জন্য উপযুক্ত জায়গা। এখানে স্কুবাডাইভিং করে আগ্নেয়গিরির পাহাড়, পাথর ও ছাই দেখা যায়। পাশাপাশি এখানে জাপানের ঐতিহ্যবাহী ২টি শহরে ও ৬টি গ্রামে ঘুরতে পারবেন।
১৬০০ সালের দিকে নির্মিত দূর্গটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে পরিচিত। এখানে মিলিটারিদের থাকার জন্য বেশ কিছু বিল্ডিং ছিল। সব বিল্ডিং বিশেষভাবে একটার সাথে আরেকটা সংযুক্ত। এছাড়া প্যালেসের বাইরে মার্বেল পাথরে বাধানো পুকুর, বাগান ও চেরি গাছের সারি রয়েছে।
কিয়োটো ইমপেরিয়াল পার্কে অবস্থিত সেন্টো ইমপেরিয়াল প্যালেস। বর্ণিল ফুলের গাছ এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্যালেসের পাশেই ছোট ছোট পাথরে বাঁধানো লেক রয়েছে। পাথর ও কাঠের ব্রিজে পায়ে হেঁটে ঘুরতে পারবেন।
পশ্চিম কিয়োটোর জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান আরাশিয়ামা। এখানে গিয়ে চেরি ফুল, লম্বা বাঁশের বাগান, ছোট দোকান, রেস্টুরেন্ট, মন্দিরসহ একসাথে অনেক কিছু দেখে আসা যায়। চাইলে সাইকেল ভাড়া নিয়ে নিজের মত করে ঘুরে দেখতে পারবেন।
পরিবার ও বাচ্চাদের সাথে নিয়ে ঘোরার জন্য কিয়োটো অ্যাকুরিয়াম বেশ ভালো স্থান। দুই তলাবিশিষ্ট পুরো অ্যাকুরিয়ামের ফ্লোর ও দেয়াল কাঁচের তৈরি। এখানে সালামান্ডার, পেঙ্গুইন, কোরাল, জেলীফিশ, অক্টোপাস, সীলসহ অনেকরকম বড় মাছ দেখা যায়।