৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে দিল্লিতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই তার অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা সৃষ্টি হয়। তবে, এইবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, শেখ হাসিনা আর দিল্লিতে নেই। তিনি বর্তমানে কলকাতার নিউটাউনে অবস্থান করছেন।
২২ তারিখ মধ্যরাতে পিনাকি ভট্টাচার্য জানান, হাসিনা দিল্লি থেকে কলকাতায় চলে এসেছেন এবং তিনি আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের সাথে দেখা করছেন। তবে, কলকাতাতে তিনি স্থায়ীভাবে থাকবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পিনাকি জানান, হাসিনাকে সল্ট লেক এবং নিউটাউনে দুইটি এলাকাতেই দেখা গেছে, তবে, সম্ভবত তার অস্থায়ী ঘাটি নিউটাউনে।
পিনাকির এই পোস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এর আগে জানা গিয়েছিল, হাসিনাকে দিল্লি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, কারণ ভারত তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি এবং তারা তাকে অন্য কোনো দেশে সেফ এক্সিট দেওয়ার চেষ্টা করছে। ব্রিটেনও তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে নাকচ করে দিয়েছিল।
গত বছরের ২৪ অক্টোবর একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, শেখ হাসিনা দিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনের একটি বাড়িতে বসবাস করছিলেন। সেখানে ভারতের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা বাড়ির মতো একটিতে তাকে রাখা হয়েছিল।
এই প্রতিবেদনের পর দীর্ঘ চার মাস হাসিনার অবস্থান নিয়ে আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে, শেখ হাসিনার কলকাতার নিউটাউনে অবস্থানের খবরটি এখন আর গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর আগে নিউটাউনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও দেখা গেছে। গত বছরের অক্টোবরেই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জামান খানসহ আওয়ামী লীগের নেতারা নিউটাউনের ইকোপার্কে ঘোরাফেরা করছিলেন।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, শেখ হাসিনার আত্মীয় মাদারীপুরের সাবেক এমপি নূরে আলম চৌধুরী লিটনসহ অনেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও কলকাতায় রয়েছেন। তাহলে কি এবার তিনি নিজের আত্মীয়দের কাছে পাড়ি জমালেন?
এই রহস্যময় পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে শেখ হাসিনার কলকাতায় অবস্থান।