ছুটির দিনে একটু আলাদা করে সবাইকে নিয়ে অথবা একলা অবকাশ যাপন করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার খুব কাছেই ছুটি রিসোর্ট থেকে। ছুটি রিসোর্ট গাজীপুরের সুকুন্দি গ্রামে অবস্থিত। প্রায় ৫০ বিঘা জায়গার উপর পরম যত্নে গড়ে তোলা হয়েছে এই ছুটি রিসোর্টটি।
ঢাকা থেকে এই রিসোর্টের দুরত্ব মাত্র ৩৭ কিলোমিটার। আর গাজীপুর শহরের রাজবাড়ি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ছুটি রিসোর্ট। গ্রামীণ পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে ছুটি রিসোর্ট একদম উপযুক্ত স্থান। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন গ্রামীণ আবহে তৈরি এই অবকাশ কেন্দ্রে রয়েছে নৌ ভ্রমনের ব্যবস্থা এবং সংরক্ষিত বনে তাবু টানানোর সুযোগ।
এছাড়াও আছে ছনের তৈরি ঘর, কটেজ, বার্ড হাউজ, ভেষজ গার্ডেন, সবজি ও ফুলের বাগান। রয়েছে দু’টি রেস্টুরেন্ট, পিকনিক স্পট এবং গ্রামীণ পিঠা খাবার ব্যবস্থা। ছোটোদের জন্য রয়েছে খেলার মাঠ ও কিডস জোন। রিসোর্টটিতে ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়বে বেশ কয়েকটি সুন্দর ঘোড়া, রাজহাস সহ বিভিন্নরকম পশুপাখি।
ছুটি রিসোর্টে পাখির কলরব, শিয়ালের ডাক, ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ, রাতে চাদের আলো এসব কিছু প্রতি মহুরতে গ্রামীণ আবহাওয়ার বার্তা শুনিয়ে যায়। যদি কোন পূর্ণিমা রাতে এই রিসোর্টে সময় কাটাতে আসেন তাহলে নিকষ কালো অন্ধকারে পূর্ণ জোছনার আলো উপলব্ধি করতে পারবেন। তার কারণ পূর্ণিমা রাতে ছুটি রিসোর্টে কোন বৈদ্যুতিক আলো জ্বালানো হয় না।
ছুটি রিসোর্টে আগত অতিথিদের নানা মৌসুমি ফল উপহার দেয়া হয়। এছাড়া সকালে নাস্তা হিসেবে দেয়া হয় চালের রুটি। আর রুটির সাথে থাকে ডাল ভুনা, মুরগির মাংস ও চিতই পিঠা। দুপুরের খবার হিসেবে এখানে বাংলা খাবার, চাইনিজ, থাই, কন্টিনেন্টাল সব ধরণের খাবার পাওয়া যায়।
ছুটি রিসোর্টে দুটি বিশাল লেক রয়েছে। এখানে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে ইচ্ছা মতো মাছ ধরা যায়। এছাড়া আগত অতিথিদের জন্য নানান ধরনের খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন: ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ইত্যাদি। থাকার জন্য আছে ২১টি এসি ও নন এসি কটেজ। এই কটেজে আরো রয়েছে সুইমিং পুল এবং কনফারেন্স রুম। ছুটি রিসোর্টে পিকনিক করারও সু-ব্যবস্থা রয়েছে।