বিমানের টিকিটের দাম বাস কিংবা ট্রেনের মতো একেবারে নির্দিষ্ট থাকে না। দেখা গেল, সকালে বুক করলে এক খরচ, বিকেলে আবার আরেক ধরনের। আর পারলে রাতে ফ্লাইটের টিকিট বুক করা থেকে বিরত থাকাই ভালো। আবার দিনক্ষণ হিসেবে এর দাম ওঠানামা করে; বিশেষ করে ছুটির মৌসুমে বাড়তি খরচ ধরেই বিমানে ভ্রমণ করতে হয়। তবে কিছু সহজ পরিকল্পনা এবং কৌশলগত বিষয় মেনে চলতে পারলে এই খরচ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।
বিকল্প বিমানবন্দর বেছে নিন
আপনার গন্তব্যস্থলের প্রধান বিমানবন্দরের পাশাপাশি কাছাকাছি অবস্থিত বিকল্প বা সেকেন্ডারি বিমানবন্দরগুলোকেও সম্ভব হলে বেছে নিন। অনেক সময় এগুলোতে যাত্রীর চাপ কম থাকে এবং টিকিটের দাম তুলনামূলক কম হয়। ভ্রমণ সংস্থা গ্লোবাল ট্রাভেল মোমেন্টসের প্রতিষ্ঠাতা ডানকান গ্রিনফিল্ড টার্ক বলেন, ‘ব্যস্ত সময়ে ছোট বা কম পরিচিত বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করলে সময় ও অর্থ—দুটোই কমে যায়।’ এ ছাড়া নিজ শহরের বাইরে অন্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট খোঁজার কথা ভেবে নিতে পারেন।
ওয়ান ওয়ে টিকিট বুক করুন
রাউন্ড ট্রিপ বা যাওয়া-আসার টিকিট একসঙ্গে না কেটে আলাদাভাবে দুটি ওয়ান ওয়ে টিকিট কিনলে কখনো কখনো খরচ কমে আসে। ইন্টারন্যাশনাল সিটিজেনস ইনস্যুরেন্সের প্রেসিডেন্ট জো ক্রোনিন জানান, ভিন্ন ভিন্ন এয়ারলাইনসে ওয়ান ওয়ে টিকিট খোঁজার মাধ্যমে আপনি অনেক সময় ভালো ফ্লাইট কম্বিনেশন এবং সময়সূচি খুঁজে পেতে পারেন। এতে রাউন্ড ট্রিপের চেয়ে খরচ অনেকটা কমে।
এ ছাড়া কৌশলটি শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা বদলে গেলেও কাজে আসে। কারণ, রাউন্ড ট্রিপ মানেই নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে ফিরতে হবে। না হলে আবার সেই টাকাও জলে যাবে। কিন্তু ওয়ান ওয়ে হলে আপনি ইচ্ছেমতো ফেরার সময় ঠিক করে নিতে পারেন।
ছুটির সময় ভ্রমণের খরচ বেড়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। তবে একটু বুদ্ধিমত্তা এবং বিকল্প চিন্তাভাবনা যদি করতে পারেন, তাহলে তা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। বিকল্প বিমানবন্দর ব্যবহার এবং ওয়ান ওয়ে টিকিট কৌশল—এই দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি ভ্রমণের অর্থ সাশ্রয় করতে পারেন।
সূত্র: সিএনএন