৩০০ কোটি ডলারের উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সিঙ্গাপুরের চ্যাঙ্গি এয়ারপোর্ট। এই অর্থ ৬ বছর ধরে সংগ্রহ করা হবে। এ জন্য সেখানে যাত্রী ও এয়ারলাইনের ফি বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এ থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে বিমানবন্দরের চারটি টার্মিনালের উন্নয়ন করা হবে। জ্বালানি ও শ্রমিক খাতে অপারেটিং খরচ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে তা সামাল দেয়া হবে।
এ খবর দিয়ে অনলাইন স্ট্রেইট টাইমস বলছে, চ্যাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে যেসব যাত্রী যাত্রা শুরু করবেন তাদেরকে পরবর্তী দুই বছর সবমিলে ফি দিতে হবে ৬৫.২০ ডলার। কিন্তু ২০২৭ সালের এপ্রিলে তা শতকরা ২১ ভাগ বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি পেয়ে ২০৩০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই খরচ দাঁড়াবে ৭৯.২০ ডলার। যেসব যাত্রী এই বিমানবন্দরকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করবেন তাদের বর্তমান ফি দ্বিগুণ হবে। বর্তমানে এ জন্য তাদের ফি দিতে হয় ৯ ডলার। তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত দাঁড়াবে ২১ ডলার।
২০৩০ সাল পর্যন্ত চ্যাঙ্গি বিমানবন্দরে অবতরণ বা পার্কিং করলে বিমান সংস্থাগুলোকে আগের চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ বেশি ফি শোধ করতে হবে। খবরে আরও বলা হয়, চাপা বডির জেট বিমান, যেমন এয়ারবাস এ৩২০, এমন বিমানের অবতরণ, পার্কি এবং এরোব্রিজ ফি এই বিমানবন্দরে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে অবতরণের জন্য এই ফি ১২০০ ডলার।
তা ২০৩০ সালের এপ্রিলে দাঁড়াবে ১৭২৫ ডলার। এয়ারবাস এ৩৫০-এর মতো বিস্তৃত বডির বিমানের ফি বর্তমানে ৩৬০০ ডলার।
তা প্রতি বছর বাড়তে বাড়তে ৬ বছরের শেষে দাঁড়াবে ৫০৪০ ডলার। এই মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ৭ই নভেম্বর সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব সিঙ্গাপুর এবং চ্যাঙ্গি এয়ারপোর্ট গ্রুপ বলেছে, এর ফলে যে অর্থ সংগৃহীত হবে তা দিয়ে বিদ্যমান সেবা ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে। এর মধ্যে আছে ব্যাগেজ হস্তান্তর ব্যবস্থা, স্কাইট্রেন- যা টার্মিনাল ১,২ ও ৩’কে সংযুক্ত করেছে। এ ছাড়া ১৬ বছরের পুরনো টার্মিনাল ৩ নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা আছে। তবে এটা পরিকল্পনার পর্যায়ে আছে।