দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর চীনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ ও চীনে একই দিনে ঈদ উৎযাপন হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ তিন বছর ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়ার সুযোগ ছিল না। সম্প্রতি সরকার করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ শিথিল করায় খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
স্থানীয় সময় শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে বিভিন্ন প্রদেশের ঈদগাহ ময়দান এবং মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তবে চীন একটি বড় আয়তনের দেশ হওয়ায় ভৌগোলিক কারণে কোন কোন প্রদেশে শুক্রবার (২০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় চীনা নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসীরাও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে সাজসজ্জা নিয়ে ঈদগাহে রওনা দেন। দেশটির বিভিন্ন শহরের মসজিদ, ঈদগাহ ময়দান এবং হলরুমে একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
ঈদ প্রসঙ্গে চীন আওয়ামী লীগ সভাপতি জনি বেপারী বলেন, পবিত্র এ ঈদের দিনে চীনে বসবাসরত প্রতিটি বাংলাদেশির সুখ সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসে সব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একই ছাতার নিচে এসে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সোনার বাংলা গড়তে ভিশন ২০৪১ সফল করতে এগিয়ে আসতে হবে। একইসঙ্গে তিনি দেশের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেছেন।
নাছাং ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রেজা সুলতানুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের মধ্যে ঈদ উদযাপন করেছি। এত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে যেন এক টুকরো মিনি বাংলাদেশে নামাজ আদায় করলাম। আমরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।
ঈদের জামাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা অংশ নেন। ঈদের নামাজ শেষে দেশ, জাতি এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।