দেশটির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেস্কো ললোব্রিজিদা বলেছেন, ইটালির তথাকথিত “ফ্লো ডিক্রির” অধীনে কত অভিবাসী শ্রমিক আনা উচিত তা শ্রমবাজারের চাহিদা এবং তাদের সমাজে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে।
ভেরোনার ভিনিটালি মেলা থেকে রাই ট্রে টেলিভিশন চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, শ্রমিক আনার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা ঘোষণা করতে চায় না ইটালি।তিনি বলেন, “আপনি যখন ইটালিতে শ্রম শক্তি নিয়ে আসবেন, এটা খেয়াল রাখতে হবে যে এসব মানুষদের যাতে সমাজে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, যাদেরকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় এবং একটি চুক্তির অধীনে ভাল বেতনের কাজ দেয়া যায়।”
“দুর্বল দেশগুলোকে” অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যাতে ইটালিতে প্রয়োজন নেই
ললোব্রিজিদা বলেন, এটা অবশ্যই বুঝতে হবে যে “নিয়মিত অভিবাসনের প্রথম শত্রু হল অনিয়মিত অভিবাসন।
কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে ইটালিতে কাজ করতে আসা শ্রমিকদের অনেকে “দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক” মনে করেন। এমন চিন্তাভাবনাকে “অদ্ভুত মনোভাব” আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানান কৃষিমন্ত্রীতিনি বলেন, অনেক ইটালিয়ান ‘সিটিজেনশিপ ওয়েজ‘ বা ‘নাগরিক বেতন‘ নিয়ে যেসব চাকরিকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখেন, সেসব চাকরিই শ্রমিকেরা করতে আসেললোব্রিজিদা বলেন, “আমি এই ধরনের একটি অসভ্য চিন্তাভাবনা প্রত্যাখ্যান করি।”
ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনির ব্রাদার্স অব ইটালি (এফডিআই) দলের সদস্য ফ্রান্সেস্কো ললোব্রিজিদা। এর আগে রোববার তিনি আরেকটি সভায় বলেছিলেন, তরুণ ইটালীয়দের উচিত ‘নাগরিকত্ব মজুরি’ উপভোগ করে বাড়িতে সোফায় বসে থাকার পরিবর্তে ক্ষেতে ফল বাছাইয়ের কাজ করার জন্য প্রস্তুত হওয়া, নিজেদের উন্নতি করা।
কৃষি খাতে কর্মী সংকট
ইটালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেকো ললোব্রিজিদা জানান, কৃষিখাতে হাজার হাজার শ্রমিকের সংকট রয়েছে৷ এটি কৃষিখাতে একটি অ্যালার্মের মতো যে স্থানীয় শ্রমবাজার থেকে এই ঘাটতি পূরণ করা যাচ্ছে না৷
ইটালির কৃষিখাতে শ্রমিক সংকটের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত হচ্ছে৷ দেশটির কৃষকদের সংগঠন কোলদিরেত্তি জানায়, তাদের আশা সরকার কৃষিখাতের জন্য এক লাখ শ্রমিক আনার অনুমতি দেবে৷
ইটালিতে অবস্থানরত অভিবাসী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা
ইটালিতে বর্তমানে অবস্থানরত অভিবাসীদের কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই চিন্তা করছে সরকার৷ তার মানে দাঁড়ায়, বিদেশি কর্মী আনার বিষয়টি নির্ভর করবে দেশটিতে এই মুহূর্তে কত সংখ্যক দেশি-বিদেশি রয়েছেন যারা সরকারের কাছ থেকে ন্যূনতম ভাতা পাচ্ছেন এবং দেশটির বিভিন্ন খাতে অবদান রাখতে পারবেন সেই বিষয়টির ওপর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশ থেকে কর্মী আনতে চাইবে তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে যে, দেশে এই খাতে কর্মীর ঘাটতি রয়েছে৷