শনিবার (২২ জুন) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের পর এ ঘোষণা আসে। বৈঠকে ১০টি সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
এছাড়া বৈঠক শেষে ১৩টি ঘোষণা দেয়া হয়। সেই ঘোষণার এক নম্বরে রয়েছে রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়টি।
এদিকে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চালুর ঘোষণার খবর গণমাধ্যমে আসতেই উচ্ছ্বসিত রাজশাহীর মানুষ। দ্রুতই এ পথে ট্রেন চালু হবে বলে আশা তাদের।
রাজশাহী অঞ্চল থেকে প্রতিদিনই শত শত রোগী চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। আত্মীয়তার কারণেও অনেক মানুষ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান। এছাড়া আমদানি-রফতানির কারণে ব্যবসায়ীদের কলকাতাসহ বিভিন্ন রাজ্যে যেতে হয়। সরাসরি ট্রেন চালু হলে সবার দুর্ভোগ আর ভোগান্তি কমে যাবে বলে মনে করেন রাজশাহীর বিশিষ্টজনরা।
জানা যায়, রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চালু করতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ২০১৮ সালের তার নির্বাচনী ইশতেহারের ৭(খ) নম্বরে লেখা ছিল ‘রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস চালু করা।’
রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চালু করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে দাবি জানান রাসিক মেয়র। এছাড়া রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চালুর গুরুত্ব তুলে ধরে রেলমন্ত্রীকে কয়েকবার ডিও দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাজশাহী থেকে কলকাতা সরাসরি ট্রেন ও বিমান চালু করা আমার নির্বাচনের অন্যতম প্রতিশ্রুতি। অবশেষে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে। এতে রাজশাহী তথা উত্তরাঞ্চলের মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।’
Like this:
Like Loading...