বিমানবন্দরে সময় নষ্ট হওয়ার বিষয়টি অনেকটাই সাধারণ। এ সময়টাতে কেউ বই পড়েন; কেউ কিছু খান। কেউবা ঘুরে বেড়ান, কেনাকাটা করেন। কেউ টিকটক তৈরিতে মেতে উঠেন। বিমানবন্দর যদি দৃষ্টিনন্দন হয়, তাহলে তো কথাই নেই। ঘুরেফিরে ভালোই সময় কাটে যাত্রীদের।
বিমান যোগাযোগ বিষয়ক ওয়েবসাইট স্কাইট্র্যাক্স তথ্য অনুযায়ী, টানা ১৩ বারের মতো বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর হয়েছে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি। এটি নিজেই এমন একটি গন্তব্য, যেখানে যাত্রীরা তাদের ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ব্যাগ রেখে বিমানবন্দরে সময় কাটাতে পারবেন। তারা বেশির ভাগই বিশাল ১০তলা জুয়েল শপিংমলে পৌঁছান, যেখানে ২০২৪ সালে অন্তত ৮ কোটি মানুষের পদচারণা দেখা গেছে। এরপর রয়েছে একাধিক ইনডোর গার্ডেন এবং ৪০ মিটার উঁচু রেইন ভর্টেক্স, যা বিশ্বের বৃহত্তম গৃহাভ্যন্তরীণ জলপ্রপাত। এ ছাড়া স্পা, হোটেল, শিল্প প্রদর্শনী, একটি জাদুঘর, একটি সিনেমা হল; এমনকি একটি ডাইনোসর থিম পার্কও রয়েছে।
স্কাইট্র্যাক্স সিঙ্গাপুরের বিমানবন্দরটিকে একটি ‘পানাহারের আশ্চর্যভূমি’ হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে। গত ৯ এপ্রিল মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডসে এটি বিশ্বসেরা এয়ারপোর্ট ডাইনিং, বিশ্বসেরা এয়ারপোর্ট ওয়াশরুম ও এশিয়ার সেরা বিমানবন্দর পুরস্কার জেতে।
এসবের মধ্যেই বিমানবন্দরের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে চাঙ্গি কর্তৃপক্ষ। আগামী ছয় বছরে বিমানবন্দর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে তারা ২০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যয়ের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
সিএনএন